‘দুর্নীতির বলয়’ তৈরির মাধ্যমে ‘অঢেল সম্পদের মালিক’ হওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সেই ২৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বদলি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বদলি করা হয়েছে বলে গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়।
বৃহস্পতিবার, ৩১ জানুয়ারি স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের যুগ্ম সচিব (পার-২) এ কে এম ফজলুল হকের সই করা এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে।
ওই কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দীর্ঘদিন একই কর্মস্থলে থেকে ‘দুর্নীতির শক্তিশালী বলয়’ তৈরি করেছেন উল্লেখ করে গত ২৩ জানুয়ারি তাদের বদলি করার পাশাপাশি বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছিল দুদক।
চিঠিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীন বিভিন্ন কার্যালয়ে কিছু দুর্নীতিবাজ, স্বেচ্ছাচারী ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী কর্মকর্তা-কর্মচারী দীর্ঘদিন ধরে একই কর্মস্থলে চাকরি করার সুবাদে দুর্নীতির শক্তিশালী বলয় তৈরি হয়েছে।
চিঠিতে দুদক আরও বলেছে, ‘দুর্নীতির বলয়’ তৈরি করা এসব কর্মকর্তা-কর্মচারী ক্ষমতার অপব্যবহার করে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন।
বদলির আদেশ পাওয়া ওই ২৩ জনের মধ্যে এমন কয়েকজন আছেন যাদের রংপুর বিভাগ থেকে অন্যত্র বদলি করা হয়েছে। অপরদিকে অন্য এলাকা থেকে কয়েকজনকে রংপুর বিভাগে বদলি করা হয়েছে।
রংপুর বিভাগ থেকে গেলেন যারা : রংপুর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আজিজুর রহমানকে শেরপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয়ে, স্টেনোগ্রাফার সাইফুল ইসলামকে গোপালগঞ্জের শেখ সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলমকে সুনামগঞ্জের সিভিল সার্জন অফিসে বদলি হয়েছে।
রংপুর বিভাগে এলেন যারা : ময়মনসিংহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানকে রংপুর সিভিল সার্জন কার্যালয়ে, সিলেটের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের উচ্চমান সহকারী আমান আহমেদকে কুড়িগ্রামের চিলমারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে, খুলনা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ হোসেনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং অফিস সহকারী মো. মাসুমকে লালমনিরহাটের পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বদলি করা হয়েছে।
শেখ হাসিনার নতুন সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে জোর দেওয়ার পর চলতি বছরের শুরু থেকে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে দুদক।
এবি/৩১.০১.১৯