রংপুর নগরীতে ঢিলেঢালা ভাবে চলছে লকডাউন। মানুষের সমাগম কিছুটা কম থাকলেও মানা হচ্ছেনা নির্দেশনা। জনসমাগম রোধে ও স্বাস্থ্যবিধি মানতে জেলা প্রশাসন ও রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হলেও সাধারণ মানুষ তা মানছেনা।
আজ সোমবার, ৫ এপ্রিল লকডাউনের প্রথম দিনে রংপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে।
জানা গেছে, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট লকডাউনের নির্দেশনা মানাতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছেন। তবে শুধু সেই সময়টাতে লোকজন নির্দেশনা মানলেও কিছুক্ষণ পরেই পরিবেশ পাল্টে যাচ্ছে।
সরেজমিন দেখা গেছে, বাস চলাচল বন্ধ থাকলেও নগরজুড়ে অনেকটা স্বাভাবিক ভাবেই প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, ট্রাক, পিকআপ ভ্যান, থ্রি-হুইলার, ইজিবাইক, অটোরিকশা, মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচল করছে। বিশেষ করে শহরের ভিতরে ইজিবাইকের চলাচলে যানজট লেগে যাচ্ছে মাঝে মধ্যেই। সাধারণ মানুষ অনেকটা আগের মতই চলাচল করছেন। অনেকেরই মুখে ছিল না মাস্ক, মানছেন না সামাজিক স্বাস্থ্যবিধি।
নগরীর শাপলা চত্বর, পায়রা চত্বর, জাহাজ কোম্পানী মোড়, সিটি বাজার, মডার্ণ মোড়, বাস টার্মিনাল এলাকা ঘুরে দেখা যায়, বিপণী বিতান, শপিং মল, মার্কেট বন্ধ রয়েছে।
রংপুর শহরে সিটি বাস সার্ভিস না থাকায় ইজিবাইক, মোটরসাইকেল ও অটোরিকশায় করে মানুষজন যাতায়াত করে থাকেন। লকডাউনের প্রথম দিনে প্রশাসনের নির্দেশনা উপেক্ষা করে অনেকটা আগের মতই এসব চলাচল করছে।
এছাড়াও সকাল থেকেই নগরীর শাপলা চত্তর, মডার্ণ মোড় সহ বিভিন্ন স্থানে কর্মজীবী, দিনমজুর, শ্রমিকদের ভিড় দেখা গেছে।
এদিকে লকডাউন কার্যকর করতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। সচেতনতা মূলক প্রচারণা সহ মাস্ক বিতরণ করছেন। র্যাবের প্রচারণা টিম টহলের মাধ্যমে নগরবাসীকে সচেতন করছেন। মেট্টোপলিটন পুলিশও লকডাউন নির্দেশনা মানানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পাশাপাশি সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সচেতনতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।
জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদ হাসান মৃধা জানান, লকডাউন নির্দেশনা মানাতে তাঁরা কাজ করে যাচ্ছেন।
এবি/রাতদিন