সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তাঁর রংপুরের বাসভবন ‘পল্লীনিবাসে’ নিজের কবর করার জন্য ওসিয়ত করেছিলেন বলে দাবি করেছেন রংপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
সোমবার, ৮ জুলাই সন্ধ্যায় এক জরুরী সংবাদ সম্মেলনে জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা এই দাবি করেন। দলের রংপুর বিভাগ, জেলা ও মহানগরসহ সহযোগী ও অঙ্গসংগঠন এবং রংপুরবাসীর পক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
মহানগর জাতীয় পার্টির সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা বলেন, ‘চিকিৎসাধীন অবস্থায় আমাদের রাজনৈতিক পিতা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ স্যার যদি পৃথিবী থেকে চির বিদায় নেন, তাহলে তাঁর সমাধি কোথায় হবে তা নিয়ে ব্যপক আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে আমাদের একমাত্র দাবি স্যারের ওসিয়তকৃত পল্লীনিবাসে সমাধি করতে হবে।’
মেয়র বলেন, ‘এরশাদ স্যার অসুস্থ শরীর নিয়ে সর্বশেষ এ বছরের মার্চে রংপুরে এসেছিলেন। এসময় তিনি নিজেই বলেছিলেন আমার শরীর ভালো নেই। আমি যে কোনো সময় মৃত্যুবরণ করতে পারি। তোমরা আমার ডিজাইনে পল্লীনিবাসে আমার সমাধী কমপ্লেক্স করিও। আমি মৃত্যুর পরও তোমাদের মাঝে থাকতে চাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘স্যার অসুস্থ থাকার কারণে ওই ডিজাইন সম্পর্কে জনসম্মুখে বলতে পারেননি। তাই আজ তার সমাধি কোথায় হবে, তা আলোচনা চলছে। আমরা রংপুরবাসী এরশাদ স্যারের সমাধিকে আঁকড়ে ধরেই তার জীবন-দর্শন বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।’
এরশাদের ‘শেষ ইচ্ছে’ পূরণে জাতীয় পার্টির নীতি নির্ধারকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক হাজী আব্দুর রাজ্জাক, যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আব্দুল বারী, রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির যুগ্ন সাধানর সম্পাদক লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, জেলা জাপার সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক নেতা তোফাজ্জল হোসেন তোফা, মহানগর শ্রমিক পার্টির সভাপতি রাজু আহম্মেদ, জেলা ছাত্রসমাজের আহ্বায়ক আশরাফুল ইসলাম জবা ও যুগ্ম আহ্বায়ক আল-আমিন সুমন প্রমুখ।
এইচএ/রাতদিন