সকল প্রবীণকে ভাতা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে: সমাজকল্যাণমন্ত্রী

আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে সকল প্রবীণকে (৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স্ক পুরুষ এবং ৬২ বছর তদূর্ধ্ব বয়স্ক মহিলা) ভাতা প্রদানে সরকারের পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ। আজ মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারি বিকেলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

সরকারি দলীয় সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবির প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, বর্তমান সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর হতে প্রতিবছরই বয়স্ক ভাতা কর্মসূচিতে উপকারভোগীর সংখ্যা প্রায় ১০ শতাংশ হারে বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থ বছরে সারা দেশে ৪৪ লাখ জনকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করা হচ্ছে। সে হিসেবে পর্যায়ক্রমে ২০২৫ সালের মধ্যে সকল ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়স্ক পুরুষ এবং ৬২ তদূর্ধ্ব বয়স্ক মহিলাকে ভাতা প্রদানের পরিকল্পনা সরকারের আছে।

সরকার দলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, পারিবারিক অশান্তি, কঠোর শাসন অথবা অত্যাধিক স্নেহ, পিতা-মাতার অবহেলা, সঙ্গদোষ, বিবাহ বিচ্ছেদ, গঠনমূলক বিনোদনের অভাব, আধুনিক শিক্ষার অভাব এবং আগ্নেয়াস্ত্র ও মাদকদ্রব্যের সহজ লভ্যতার কারণে দেশে বিপুল সংখ্যক কিশোর-কিশোরী অপরাধীতে পরিণত হয়। এ ছাড়া বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক ও পারিপার্শ্বিক অবস্থার প্রেক্ষিতেও কিশোর-কিশোরীরা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছে।

মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ জানান, ’শাস্তি নয়, সংশোধন’- এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে এ সকল কিশোর-কিশোরীদের সংশোধন ও উন্নয়নের জন্য গাজীপুর ও যশোরে দুটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালক) এবং গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে একটি শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র (বালিকা) স্থাপন করা হয়েছে। সম্প্রতি টঙ্গীর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোর নির্যাতনের কোনো ঘটনা ঘটেনি। কোনো কেন্দ্রেই যাতে নির্যাতনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য বেশকিছু সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

সরকারি দলের অপর সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের লিখিত জবাবে মন্ত্রী জানান, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে বয়স্ক ও বিধবা ভাতাসহ সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় হতে ৫ হাজার ৬৯৭ কোটি ৬৬ লাখ টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

এবি/রাতদিন