সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা, বাদি জানেন না কিছু!

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার এক সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মামলা হয়েছে।  আমিনুল ইসলাম নামের ওই সাংবাদিক দেশের প্রথম শ্রেণির একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার তাহিরপুর প্রতিনিধি ও স্থানীয় একটি দৈনিকের নিজস্ব প্রতিবেদক।

তিনি তাহিরপুর উপজেলার ভাটি তাহিরপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুল মালিকের ছেলে। জাগোনিউজ প্রকাশ করেছে এ খবর।

গতকাল মঙ্গলবার, ২০ আগস্ট সুনাগঞ্জের বিচারিক হাকিম আদালতে মামলাটি দায়ের করেন উপজেলার শ্রীপুর উত্তর ইউনিয়নের দুধের আউটা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা সুজাফর আলী। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামি আমিনুল ইসলাম চিহ্নিত খুনি, লুটেরা ও মুক্তিযুদ্ধবিরোধী পরিবারের সন্তান। তার বাবা আব্দুল মালিক স্বাধীনতা যুদ্ধকালীন সময়ে সুনামগঞ্জের তাহিরপুরে শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন। অভিযুক্ত আমিনুল ইসলামও শান্তি কমিটির সক্রিয় সদস্য হিসেবে সোর্সের দায়িত্ব পালন করেন বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়েছে, একাত্তরের ৭ জুলাই পাক বাহিনীর সঙ্গে ট্যাকেরঘাট ৫নং সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধাদের গুলাগুলির সময় পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে আসামি আমিনুল ইসলাম ও তার বাবা উপস্থিত থেকে সিরাজুল হককে গুলি করে হত্যায় সহযোগিতা করে। সিরাজ হত্যায় আনন্দ করতেও অভিযুক্ত বাবা-ছেলেকে দেখা যায় বলে মামলায় উল্লেখ রয়েছে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী আমিরুল ইসলাম জানান, আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পরবর্তী কার্যার্থে যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রেরণের আদেশ দেন।

এ মামলায় বেশ কয়েকজন মুক্তিযোদ্ধাকে সাক্ষি করা হয়েছে।

এদিকে বিষয়ে সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম এসব অভিযোগ অস্বীকার করে সিলেটভিউ নামের একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, আমার পরিবার ও আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ আনা হয়েছে তা সব বানোয়াট ও মিথ্যা।

তিনি বলেন, ‘১৯৭১ সালে যুদ্ধ যখন শুরু হয় তখন আমার বয়স মাত্র ৫ মাস।’

বাদি জানেন না কিছুই : এ বিষয়ে মামলার বাদি মুক্তিযোদ্ধা  সুজাফর আলী সাংবাদিকদের জানান, সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম নামে কোনো ব্যক্তির সঙ্গে আমার পরিচয় নাই। আমি কারো বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে মামলা করেনি।

তিনি বলেন,  ‘গতকাল মঙ্গলবার মুক্তিযোদ্ধা রৌজ আলীর সঙ্গে আমার ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছে। আর এ বিষয় নিয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ দিতে সুনামগঞ্জে গিয়েছিলাম। এর বেশী কিছু আমি জানিনা।’

এইচএ/রাতদিন