সারা দেশে বজ্রপাতে ছয়জনের প্রাণহানী ঘটেছে। রোববার, ২ জুন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এসব ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে রংপুর বিভাগেরও একজন আছেন।
সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, নওগাঁয় বজ্রপাতে শিশুসহ ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। রোববার পৃথক সময়ে জেলার পোরশা, সাপাহার ও মহাদেবপুর উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন, পোরশা উপজেলার শিশা নশিংগাহার গ্রামের মৃত ফুল মোহাম্মাদের ছেলে আব্বাস আলী (৪৫), মহাদেবপুর উপজেলার বাফিরাবাদ গ্রামের আমেদ আলীর ছেলে নাদিউজ্জামান নয়ন (১২) এবং সাপাহার উপজেলায় চুটু (৫০)। তার বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শীবগঞ্জ উপজেলার ডুলডুলি গ্রামে।
দুপুরের দিকে আব্বাস আলী মাঠ থেকে গরু নিতে যান। এসময় হঠাৎ বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যায়। ধানা কাটার সময় মারা যান চুটু। আর নাদিউজ্জামান নয়ন বাড়ির পার্শ্বে মাঠে খেলা করার সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
পঞ্চগড়ে বজ্রপাতে আশরাফুল ইসলাম (২৮) নামে এক কৃষি শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও দুই কৃষি শ্রমিক। রোববার সকালে সদর উপজেলার কামাত কাজলদিঘি ইউনিয়নের ফকিরপাড়ায় বজ্রপাতের ঘটনাটি ঘটে। ক্ষেত থেকে ধান নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তার মৃত্যু ঘটে।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার মুন্দাইল গ্রামে বজ্রপাতে আনোয়ার হোসেন হাবু (৩০) নামে কৃষক নিহত হয়েছেন। তিনি সবজী ক্ষেতে কাজ করছিলেন।
এদিকে খুলনার কয়রায় বজ্রপাতে মাজেদা খাতুন (৪৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার বামিয়া গ্রামের খয়বার সরদারের স্ত্রী। রোববার দুপুর ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটেছে। ভিজিএফের চাল নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে বজ্রপাতে তার মৃত্যু হয়।
এবি/রাতদিন