নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর মেয়র মো. আমজাদ হোসেন সরকারের কাছে পাওনা সোয়া ৩২ লাখ টাকা আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণায় সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। সিঙ্গার বাংলাদেশ সৈয়দপুর শাখার ম্যানেজার মো. নূরুল আমিন ওই সংবাদ সম্মেলন করেন।
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর বিকেলে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের সিঙ্গার শোরুমে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সিঙ্গার বাংলাদেশ সৈয়দপুর শাখার ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার মো. নূরুল আমিন।
লিখিত বক্তবে তিনি বলেন, গত ২০১১ সাল থেকে সিঙ্গার বাংলাদেশ এর সৈয়দপুর শাখার ম্যানেজার হিসেবে অত্যন্ত ন্যায়নিষ্ঠা, সুনামের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। গেল ২০১৬ সালের তিনি ভাল পারফর্মেন্সের জন্য কম্পানির ম্যান অব দ্যা ইয়ার নির্বাচিত হন।
গত ২০১৮ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র মো. আমজাদ হোসেন সরকার তাঁর কম্পানি সিঙ্গার বাংলাদেশ এর সৈয়দপুর শো-রুম থেকে সর্বমোট ৭১ লাখ ১৬ হাজার নয় শত ৫৪ টাকার বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী ক্রয় করেন। এর মধ্যে তিনি (মেয়র) সৈয়দপুর পৌরসভা থেকে ৩৮ লাখ ৯৮ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। অবশিষ্ট ৩২ লাখ ১৮ লাখ ৫শ ১৩ টাকা বকেয়া থাকে।
ওই বকেয়া টাকার জন্য ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে তিনি বার বার পৌর মেয়রের কাছে ধর্ণা দেন। কিন্তু পৌর মেয়র দীর্ঘদিনেও বকেয়া থাকা উল্লিখিত পরিমাণ টাকা পরিশোধ করেননি। এছাড়াও বকেয়া টাকার জন্য কম্পানির বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা একাধিকবার সৈয়দপুর পৌর মেয়র সঙ্গে দেন-দরবার করেন।
তিনি জানান, কোম্পানির এই বিপুল পরিমাণ টাকা বকেয়া থাকায় কম্পানি থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। গত ১৪ নভেম্বর ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে তিনি বকেয়া টাকা আদায়ের জন্য মেয়রের গাড়ির সামনেও শুয়ে পড়েন। এ অবস্থায় সেখানে লোকজনের উপস্থিতিতে মেয়র তিন দিনের মধ্যে বকেয়া টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেন। কিন্তু ওই আশ্বাসের পর গত সাতদিনে পৌর মেয়র বকেয়া টাকা পরিশোধের কোন ব্যবস্থা নেন নি।
উপায়ান্তর না পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার বকেয়া টাকা আদায়ে আমরণ অনশনের ঘোষণায় সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি কম্পানির বকেয়া ৩২ লাখ ১৮ হাজার ৫১৩ টাকা পরিশোধের জন্য পৌর মেয়রকে তিন দিনে আল্টিমেটাম দেন। এ সময়ে মধ্যে তিনি কম্পানির বকেয়া টাকা পরিশোধ না করলে ব্র্যাঞ্চ ম্যানেজার নুরুল আমিন সৈয়দপুর কার্যালয়ের সামনে কাফনের কাপড় পড়ে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন।
জেএম/রাতদিন