নীলফামারীর সৈয়দপুরে চলাচলের রাস্তার পাশে বাড়ির ল্যাট্রিনের ময়লা (পায়খানা) ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। উপজেলার তিন নম্বর বাঙ্গালীপুর ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের লক্ষণপুর দেওয়ানিপাড়া যাওয়ার রাস্তায় পাশে ওই ময়লা ফেলা হয়েছে। এতে প্রায় অর্ধশতাধিক পরিবারের মানুষ ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না। চলতে গিয়ে ময়লার দূর্গন্ধে চরম দূর্ভোগে পড়ছেন তারা।
বৃহষ্পতিবার, ২৩ জুলাই সরেজমিনে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে।
দেখা গেছে, লক্ষণপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মোড় পাকা রাস্তা থেকে একটি কাঁচা রাস্তা লক্ষণপুর দেওয়ানিপাড়ায় ঢুকেছে। আনুমানিক দুই শ’ থেকে আড়াই গজের দেওয়ানিপাড়া যাওয়ার রাস্তাটির দশা এমনিতেই করুণ। দীর্ঘদিন যাবৎ মেরামত কিংবা সংস্কার না করায় রাস্তাটি মানুষের চলাচলের একেবারে অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
চলতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টিতে নিচু রাস্তায় পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়াও আশেপাশে থাকা মানুষ রেকর্ডভূক্ত রাস্তাটি বেদখল করে বাড়িঘর ও অবকাঠোমো নির্মাণ করেছেন। ফলে সেটি একেবারে অপ্রশস্ত হয়ে পড়েছে। রাস্তার পাশে একটি পুকুর থাকায় প্রতি বছর রাস্তাটি ভেঙ্গে পুকুরের মধ্যে যাচ্ছে।
তার ওপর আবার এলাকার জনৈক ইব্রাহিম রাস্তা ঘেঁষে গোবরের ভিড়া (গরু-ছাগলের গোবর রাখার গর্ত) করেছেন। শুধু এতেই শেষ নয়। এবার এলাকার বাসিন্দা মো. জামান ও মো. আউয়াল সহোদর ভাই তাদের বাড়ির ল্যাট্রিনের ময়লা ফেলেছেন রাস্তার পাশে। গত বুধবার সুইপার ডেকে এনে বাড়ির ল্যাট্রিনের ময়লা (পায়খানা) পরিষ্কার করে রাস্তার পাশে গর্ত করে ওই ময়লা ফেলে রাখা হয়েছে।
গোটা রাস্তাজুড়ে এ সব ময়লার গন্ধে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল দুরূহ হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষের। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রাস্তার পাশে ল্যাট্রিনের ময়লা রাখা হয়েছে। সেখান থেকে ছড়াচ্ছে দূর্গন্ধ। ফলে এলাকার মানুষজন নাক চেপে ধরে ওই রাস্তার চলাচল করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক গ্রামবাসী জানান, বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্যকে অনেকবার অবহিত করা হয়েছে। কিন্তু তিনি কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি।
এ নিয়ে কথা বলার জন্য রাস্তার পাশে ময়লা ফেলায় অভিযুক্ত জামান ও আউয়ালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
জেএম/রাতদিন