ঈদের আগের রাতে মেহেদি দিয়ে হাত রাঙাতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীর এক শিক্ষার্থী। এ ধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।
গতকাল মঙ্গলবার, ১৩ আগষ্ট রাত আড়াইটার দিকে ভোলা সদর উপজেলায় ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সদর উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সৈয়দ আহম্মেদের ছেলে আল আমিন (২৫) ও কামাল মিস্ত্রির ছেলে মঞ্জুর আলম (৩০)। পরে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায় পুলিশ।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ভোলা মডেল থানা পুলিশের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শিখর বলেন, মঙ্গলবার রাত আড়াইটার দিকে রাজাপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ রাজাপুর এলাকায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার আসামিদের ধরতে গেলে পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি ছোড়ে পুলিশ। এতে গণধর্ষণ মামলার প্রধান দুই আসামি নিহত হয়েছেন।
এএসআই শিখর আরও বলেন, পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত দুই ব্যক্তি চরসামাইয়া এলাকার ‘স্কুলছাত্রী’ গণধর্ষণ মামলার আসামি আল আমিন ও মঞ্জুর আলম। মেহেদি দিয়ে সাজতে গিয়ে তাদের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রী।
প্রসঙ্গত, ভোলা সদর উপজেলার উপজেলার চরসামাইয়া ইউনিয়নের একটি গ্রামের পেশায় কৃষক বাবা ঈদ উপলক্ষে তার দুই মেয়ের জন্য বাজার থেকে মেহেদি কিনে আনেন।
গত রোববার, ১১ আগস্ট সন্ধ্যার দিকে তাদের বাবা গরু বিক্রি করার টাকা আনতে ভোলা শহরে যান। পরে ওই দুই বোন রাত ৮টার দিকে প্রতিবেশী মাহফুজের স্ত্রীর কাছে হাতে মেহেদি দিয়ে সাজতে যায়। ওই সময় আগে থেকে অপেক্ষমাণ মাহফুজের ঘরের ভাড়াটিয়া আল আমিন ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্রীকে ডেকে তার ঘরে নিয়ে যায়। এ সময় আলমিনের স্ত্রী ঘরে ছিল না। এ সুযোগে ওই ছাত্রীকে আলামিন ও তার সহযোগী মঞ্জুর আলম হাত-পা ও মুখে কাপড় বেঁধে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর চিৎকারে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষু অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপর ঈদের দিন বরিশালের শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় ( শেবাচিম) হাসপাতালে পাঠানো হয় ওই ছাত্রীকে।
এইচএ/রাতদিন