অপহরণের পাঁচ মাস পর এক স্কুলছাত্রীকে (১৫) উদ্ধার করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে তার দুলাভাই ফেরদৌস শেখকেও গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শুক্রবার, ১৬ আগষ্ট রাতে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগে ফেরদৌস শেখসহ আটজনকে আসামি করে নাজিরপুর থানায় মামলা করেছেন।
আজ শনিবার দুপুরে ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনা ঘটেছে জেলার নাজিরপুরে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, নাজিরপুর উপজেলার উত্তর দীর্ঘা গ্রামের অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া ওই ছাত্রীকে চলতি বছরের ১২ মার্চ স্কুলে যাওয়ার পথে একই গ্রামের আক্কাস শেখের ছেলে ও ওই ছাত্রীর দুলাভাই ফেরদৌস শেখ অপহরণ করে। অপহরণের পর ওই ছাত্রীকে বিভিন্ন স্থানে রেখে ধর্ষণ করে ফেরদৌস শেখ। এ ঘটনায় অপর আসামিরা তাকে সহায়তা করে।
জানা গেছে. ছয় বছর আগে ফেরদৌস শেখ ওই স্কুলছাত্রীর বড় বোনকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তাদের ঘরে একটি কন্যাসন্তান জন্ম নেয়। ওই কন্যার বয়স যখন দুই মাস তখন তাকে ফেলে তার স্ত্রী অন্য এক ছেলের সঙ্গে পালিয়ে যান। পরে ওই ছেলেকেই বিয়ে করেন।
নাজিরপুর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) মো. জাকারিয়া জানান, শনিবার ওই স্কুলছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পিরোজপুর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এবি/রাতদিন