রায়হান মিয়া। পেশায় দিনমজুর। দিনমজুরীর পাশাপাশি ঢাকায় পোশাক শ্রমিকের কাজ করতেন। মিঠাপুকুর উপজেলার ১৬ নং মির্জাপুর ইউনিয়নের পুঁঠিমারী এলাকার ইউপি সদস্য জোব্বার মিয়ার ছেলে। বিয়ে করেন ২০১৪ সালে। দেনমোহরের টাকা নিয়ে বিতর্ক ও বনিবনা না হওযায় স্ত্রীর প্রতি অভিমানে আত্মহত্যা করেন রায়হান। পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে এমনটাই জানা গেছে।
শুক্রবার, ১০ মে উপজেলার বৈরাতী এলাকার আমগাছে ঝুলন্ত ওই দিনমজুর রায়হান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালে একই গ্রামের ইউনুস আলীর মেয়ে রুমি বেগমকে বিয়ে করেন রায়হান। বিয়ের পর থেকে মোহরানার টাকা নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বনিবনা হতো না। এছাড়াও রায়হান মিয়ার পরিবারও এই বিয়েতে নাখোশ ছিল। ফলে প্রায় সময় ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। এ অবস্থায় বিয়ের চার বছর পর নতুন করে রেজিস্টার করে দেনমোহর তিন লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রাতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হয়। পরে শুক্রবার ভোরের দিকে আমগাছে ফাঁসিতে ঝুলন্ত মরদেহ দেখে প্রতিবেশীরা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
রাখি নামে তাদের এক বছরের একটি মেয়ে রয়েছে ।
পারিবারিক কলহের জেরে রায়হান মিয়া আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়ে মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাফর আলী বিশ্বাস বলেন, লাশ উদ্ধার করে সুরতহাল করা হচ্ছে। সুরতহাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসকে/রাতদিন