বাংলাদেশের হার এখন সামনে। সকাল একটু ভালো থাকলেও এখন ৬০ রানে ৪ উইকেট। চা বিরতিতে গেল ৬ উইকেটে ১৯১ রান নিয়ে।
তখনো ম্যাচে ইনিংস হার এড়ানো থেকে ১৫২ রান দূরে বাংলাদেশ। দিনের শেষ সেশনের পুরোটা বাকি ৪ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশ পার করে দিতে পারবে-এমন সম্ভাবনা যে ভীষণ ক্ষীণ!
তৃতীয় দিন চা বিরতিতে যাওয়ার সময় মুশফিক রহিম খেলছিলেন ৫৩ রান নিয়ে। তার সঙ্গে থাকা মেহেদি হাসান মিরাজের রান ছিল অপরাজিত ৩৮। সপ্তম উইকেট জুটিতে এই দুজনে যোগ করেন হার না মানা ৫৬ রান। এমন অবস্থায় বর্তমান বাংলাদেশে।
মুশফিক এই হাফসেঞ্চুরির ইনিংসে ভারতের বিপক্ষে ব্যক্তিগত একটা মাইলস্টোনে পৌঁছালেন। টেস্টে ভারতের বিপক্ষে সবচেয়ে বেশি রান করা বাংলাদেশি ক্রিকেটার এখন মুশফিকুর রহিম। ৩৮৬ রান নিয়ে এতদিন মোহাম্মদ আশরাফুল ছিলেন এই তালিকার শীর্ষে।
অফস্ট্যাম্পে পড়া মোহাম্মদ শামির যে বলে মাহমুদউল্লাহ আউট হলেন, সেটা তিনি না খেলে ছেড়ে দিলেও পারতেন! ৩৫ বল খেলে ১৫ রানে রোহিত শর্মার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরার পথে নিশ্চয়ই সেই আফসোস করছিলেন মাহমুদউল্লাহ! দিনের দ্বিতীয় সেশনে বাংলাদেশ হারায় মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও লিটন দাসকে।
৩৯ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩৫ রান করে স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিনের হাতে ফিরতি ক্যাচ দিয়ে সেই প্রমাণই রাখলেন যেন লিটস দাস। ১৩৬ রানে হারায় বাংলাদেশ ৬ উইকেট।
মেহেদি হাসান মিরাজ কোনোমতো ম্যাচে জোড়া শূন্যের হাত থেকে বেঁচে গেলেন। অশ্বিনের প্রথম বলেই লেগ স্লিপে ক্যাচ তুলেছিলেন। ভাগ্য ভালো সেখানে কোনো ফিল্ডার ছিল না। চা বিরতিতে যাওয়ার আগে মেহেদি খেলছিলেন ৩৮ রান নিয়ে।
স্কোরকার্ড: (তৃতীয় দিন চা বিরতি পর্যন্ত)
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ১৫০/১০ (৫৮.৩ ওভারে, ইমরুল ৬, সাদমান ৬, মিঠুন ১৩, মুমিনুল ৩৭, মুশফিক ৪৩, মাহমুদউল্লাহ ১০, লিটন ২১, মিরাজ ০, তাইজুল ১, আবু জায়েদ ৭, এবাদত ২, অতিরিক্ত ৪;শর্মা ২/২০, যাদব ২/৪৭, শামি ৩/২৭ ও অশ্বিন ২/৪৩)।
ভারত প্রথম ইনিংস: ৪৯৩/৬ ডিক্লেয়ার্ড (১১৪ ওভারে, রোহিত ৬, আগারওয়াল ২৪৩, পূজারা ৫৪, কোহলি ০, রাহানে ৮৬, জাদেজা ৬০, আবু জায়েদ ৩/১০৮)।
বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংস: ১৯১/৬ (৫৪ ওভারে, ইমরুল ৬, সাদমান ৬, মুমিনুল ৭, মিঠুন ১৮, মুশফিক ৫৩, মাহমুদউল্লাহ ১৫, লিটন ৩৫, মেহেদি ৩৮, শামি ৩/২৫)।
এনএ/রাতদিন