বিএনপি ও মির্জা ফখরুল সাহেবরা খুন ও খুনিদের পক্ষে বক্তব্য দিচ্ছেন বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
আজ বুধবার, ১৯ আগস্ট দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেলিভিশন নাট্যশিল্পীদের সংগঠন অভিনয় শিল্পী সংঘ ও দর্শক শ্রোতা পাঠক ফাউন্ডেশনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।
সাংবাদিকরা এসময় বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক বক্তব্য ‘ক্ষমতাসীনরা ইতিহাস বিকৃতির অপরাজনীতিতে নেমেছে’ এবং সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বক্তব্য ‘১৫ আগস্টের ঘটনায় জিয়াকে জড়ানোর চক্রান্ত চলছে’ -এর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘১৫ আগস্টের নির্মম হত্যাকান্ডের জিয়ার জড়িত থাকাটি স্পষ্ট, ইতিহাস এর সাক্ষী।’
ড. হাছান বলেন, জিয়াউর রহমান যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সাথে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত সেটি আজকে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। আপনারা জানেন, কর্ণেল ফারুক-রশীদ বিবিসি’র সাথে সাক্ষাৎকারে বলেছিল, তারা যখন এই ষড়যন্ত্র শুরু করে, তখন জিয়াউর রহমানের কাছে গিয়েছিল এবং জিয়া তাদেরকে এগিয়ে যেতে বলে। জিয়ার বক্তব্যটা এমনই ছিল- আমি যেহেতু সিনিয়র অফিসার, আমি পর্দার অন্তরালে থাকবো, তোমরা এগিয়ে যাও। আর বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের দন্ডপ্রাপ্ত আসামী ক্যাপ্টেন মাজেদ, যার দন্ড কিছুদিন আগে কার্যকর করা হয়েছে, তিনি তার ফাঁসির আগে যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে জিয়াউর রহমান কিভাবে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিল, তা স্পষ্ট হয়েছে।
জিয়াউর রহমানের কাছে কর্ণেল বেগের চিঠির কপি আপনারা হয়তো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেখেছেন, আমার কাছেও আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান যখন রণাঙ্গণে অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, তখন তার কাছে কর্ণেল বেগ চিঠি লিখেছে যে- ‘তোমার কাজকর্মে আমরা খুশি এবং তোমার স্ত্রী-পুত্রদের জন্য চিন্তা করিও না, তারা ভালো আছে। মেজর জলিল সম্পর্কে তুমি একটু সতর্ক থেকো। তোমার কাজকর্মের জন্য তুমি পুরস্কৃত হবে’। আমরা পরবর্তীতে দেখতে পেয়েছি সেই কর্ণেল বেগ পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর প্রধান হয়েছিল।
জিয়াউর রহমান যদি বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের প্রধান কুশীলব খন্দকার মোশতাকের প্রধান সহযোগী না হতো, তাহলে হত্যাকান্ডের পর কেন তিনি জিয়াউর রহমানকে সেনাবাহিনীর প্রধান বানাবেন -প্রশ্ন রাখেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, আরো প্রমাণ হচ্ছে জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু হত্যাকারিদের তিনি পুরস্কৃত করে বিদেশি মিশনে চাকুরি দিয়েছিল, ’৭৯ সালের পার্লামেন্টে ইনডেমনেটি অধ্যাদেশকে আইনে পরিণত করেছিল, যাতে বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের বিচার না হয়। এসকল ঘটনা প্রবাহই তো সাক্ষ্য দেয় জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে ওতোপ্রোতভাবে যুক্ত।
টিভি নাট্যশিল্পী মুনিরা ইউসুফ মেমী, বন্যা মির্জা, শামীমা তুষ্টি, আফজাল, আশরাফ কবীর, আরমান পারভেজ মুরাদ, কোহিনুর, নাজমুন নেসা নিপা, ইয়ামিন জুয়েল, কচি খন্দকার, মাহবুবা মিনহাজ বিপা, শুভ খান, ইয়ামিন জুয়েল, শারমিন মিশু, শোয়েব সাদিক, আরিফ, অন্তু করিম, মণীষা শিকদার, জারা, অপু আহমেদ, তমাল, তন্দ্রা, নাসরিন ইসলাম, নিথর মাহমুদ, জিনিয়া প্রমুখ এসময় প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশ নেন।
এবি/রাতদিন