ভৈরবে জরুরি সেবা ৯৯৯ কল দিয়ে কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের হাত থেকে রক্ষা করেছেন ভাই। এ সময় ধর্ষণের চেষ্টায় অভিযুক্ত হৃদয় মিয়া (২৩) নামে এক বখাটেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী তরুণী স্থানীয় একটি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী। তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা।
অপরদিকে হৃদয় মিয়ার বাড়ি উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের টানকৃষ্ননগর গ্রামে, বাবার নাম কাজল মিয়া।
এ ঘটনায় ভৈরব থানায় একটি ধর্ষণ চেষ্টার মামলা হয়েছে। গ্রেফতার যুবককে বুধবার কিশোরগঞ্জ আদালতে সোপর্দ করা হয়।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানিয়েছে, ওই কলেজছাত্রীর মা-বাবা মারা গেছেন, ভাই থাকেন ঢাকায়। এ অবস্থায় পরিবারের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে পাশের বাড়ির বখাটে হৃদয় মিয়া দীর্ঘদিন ধরে তাকে উত্যক্ত করে আসছিল। কলেজে আসা-যাওয়ার পথে প্রায়ই অশ্লীল কথাবার্তাসহ বিরক্ত করত। এ নিয়ে ছাত্রীটি বখাটের পরিবার ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে একাধিকবার নালিশ করেন। কিন্তু কোনো প্রতিকার না পেয়ে কয়েক মাস আগে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দেন। এতে কিছুদিন চুপচাপ ছিল হৃদয়।
সম্প্রতি ফের উত্যক্ত করা শুরু করলে ছাত্রীটি ভৈরব থানায় একটি জিডি করেন। এরপর মঙ্গলবার তাকে বাসায় একা পেয়ে হৃদয় ভিতরে ঢুকে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। এ সময় ছাত্রীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘটনাস্থলে এসে মোবাইলে ঢাকায় তার ভাইকে জানায়। তার ভাই ৯৯৯ এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা চান। ৯৯৯ থেকে খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে বখাটে হৃদয়কে গ্রেফতার করে।
ভৈরব থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান জানান, ‘৯৯৯’ থেকে থানায় ডিউটিরত পুলিশকে ঘটনাটি জানানো হয়। থানা থেকে বিষয়টি আমাকে জানালে দ্রুত ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে ওই বখাটেকে গ্রেফতার করি।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় তরুণীর পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত করে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।