টানা দশ দিনের ছুটির সঙ্গে আরো সাত দিনের ছুটি যোগ করে নতুন প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, ‘জরুরি প্রয়োজনের অফিসসমূহ খোলা রাখা যাবে। প্রয়োজনে ওষুধশিল্প, উৎপাদন ও রপ্তানিমুখী শিল্পকলকারখানা চালু রাখতে পারবে। মানুষের জীবন জীবিকার স্বার্থে রিকশা-ভ্যানসহ যানবাহন, রেল, বাস পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে। তবে ঠিক কবে গণপরিবহন চালু হবে তা প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়নি।
জনপ্রশাসনের সংশ্লিষ্ট একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, জনপ্রশাসনের দায়িত্ব প্রজ্ঞাপন জারি করা। এখন সড়ক ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সরকারের ঊর্ধ্বতনদের সঙ্গে কথা বলে গণপরিবহণ চালুর তারিখ নির্ধারণ করবেন।
আজ বুধবার, ১ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (বিধি-৪) সাইফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে এসব তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, ‘ঘোষিত সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় আগামী ৫ এপ্রিল হতে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলো। ১০ এবং ১১ এপ্রিলের সাপ্তাহিক ছুটিও এর সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে।’
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, জরুরি পরিসেবা-বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস, ফায়ার সার্ভিস, পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম, টেলিফোন, ইন্টারনেট ইত্যাদি ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা প্রযোজ্য হবে না। কৃষি পণ্য, সার, কীটনাশক, খাদ্য শিল্প পণ্য, চিকিৎসা সরঞ্জামাদি, জরুরি ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য পরিবহণ এবং কাঁচা বাজার, খাবার, ওষুদের দোকান ও হাসপাতাল এ ছুটির আওতাবর্হিভূত থাকবে।
এ ছাড়া জনগণের প্রয়োজন বিবেচনায় ছুটিকালীন সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমিত আকারে ব্যাংকিং ব্যবস্থা চালু রাখার প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করবে।
এবি/রাতদিন