বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে আট ধাপ অগ্রগতি হয়েছে বাংলাদেশের। বিশ্বের ১৬৫টি দেশ ও দুটি ভূখণ্ডের এই সূচকে গত বছর ৮৮তম অবস্থানে থাকলেও এ বছর আট ধাপ এগিয়ে বাংলাদেশ উঠে এসেছে ৮০তম স্থানে।
বুধবার, ২২ জানুয়ারি যুক্তরাজ্যের লন্ডনভিত্তিক সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টে এ সূচক প্রকাশ করা হয়। সাময়িকীটির ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (ইআইইউ) এই সূচক নির্ধারণ করে।
২০০৬ সাল থেকে বিশ্ব গণতন্ত্র পরিস্থিতি পাঁচটি মানদণ্ডে ১০ স্কোরের ভিত্তিতে এ সূচক প্রকাশ করে আসছে ব্রিটিশ সাময়িকী দ্য ইকোনমিস্টের ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। মানদণ্ডগুলো হলো- নির্বাচনী ব্যবস্থা ও বহুদলীয় অবস্থান, সরকারে সক্রিয়তা, রাজনৈতিক অংশগ্রহণ, রাজনৈতিক সংস্কৃতি এবং নাগরিক অধিকার।
ইআইইউর এই সূচকে ১০ স্কোরের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ৫ দশমিক ৮৮, যা গত বছর ছিল ৫ দশমিক ৭৭। গণতান্ত্রিক এই সূচকে বাংলাদেশের আট ধাপ অগ্রগতি হলে প্রতিবেশী ভারতের অবনমন ঘটেছে ব্যাপক। গত বছর দেশটি ৭.২৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় ৪১তম থাকলেও এবার ৫১তম অবস্থানে নেমে গেছে। এ বছর ভারতের স্কোর ৬.৯০।
দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকা ৬.১৯ স্কোর নিয়ে গত বছর ৭১তম অবস্থানে থাকলেও এবার দেশটির দুই ধাপ অগ্রগতি হয়েছে। ৬.২৭ স্কোর নিয়ে এ বছর ৬৯তম অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এদিকে ৪ দশমিক ১৭ স্কোর নিয়ে পাকিস্তান গত বছর ১১২তম থাকলেও এবার ৪.২৫ স্কোর নিয়ে ১০৮তম অবস্থানে রয়েছে।
ইআইইউর সূচকে এবারো ৯.৮৭ স্কোর নিয়ে বিশ্বে শীর্ষ দেশ নরওয়ে। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে আইসল্যান্ড। দেশটির স্কোর ৯.৫৮। তৃতীয় স্থানে রয়েছে সুইডেন (স্কোর ৯.৩৯), চতুর্থ নিউজিল্যান্ড (স্কোর ৯.২৬) এবং পঞ্চম দেশ ফিনল্যান্ড (স্কোর ৯.২৫)।
বিশ্ব গণতন্ত্র সূচকে এ বছর একেবারে তলানিতে রয়েছে উত্তর কোরিয়া। দেশটি ১.০৮ স্কোর নিয়ে ১৬৭তম অবস্থানে রয়েছে। এছাড়া ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গো ১৬৬তম (স্কোর ১.১৩), সেন্ট্রাল আফ্রিকান রিপাবলিক ১৬৫তম (স্কোর ১.৩২), সিরিয়া ১৬৪তম (স্কোর ১.৪৩) ও চাদ ১৬৩ (স্কোর ১.৬১)।