প্রাণঘাতি করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আক্রান্তের সংখ্যাকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যাও। চীনকে পিছনে ফেলে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে ইতালি ও স্পেনে। আর গোটা পৃথিবীতে এই সংখ্যা ৩০ হাজার ছাড়িয়েছে।
রোববার, ২৯ মার্চ সকাল ৮টা পর্যন্ত বিশ্বের ১৯৯ দেশ ও অঞ্চলে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ছয় লাখ ৬৩ হাজার ৭৪০ জন। মারা গেছেন ৩০ হাজার ৮৮০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে এক লাখ ৪২ হাজার ১৮৩ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এমন তথ্য জানিয়েছে ওয়ার্ল্ডওমিটার।
করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছে ইতালিতে। দেশটিতে শনিবার পর্যন্ত ১০ হাজার ২৩ জন প্রাণ হারিয়েছেন। আক্রান্ত ৯২ হাজার ৪৭২ জন।
যুক্তরাষ্ট্রই প্রথম দেশ যেখানে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১ লাখ ১৩ হাজার ৬৭৭ জন। মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে হু হু করে। মারা গেছে ১ হাজার ৯০৩ জন। তবে মৃত্যুহার এখনও ইতালি ও ইউরোপের কয়েকটি দেশের চেয়ে কম।
শুধু নিউইয়র্ক রাজ্যেই ২৬ হাজার ৬৯৭ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ২৪ ঘণ্টায় নিউইয়র্কে ১৪৪, ওয়াশিংটনে ১৭৫ এবং লুইজিয়ানায় ১১৯ জন মারা গেছেন। নিউইয়র্ক পুলিশের ৫০০ সদস্যও করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
মোট আক্রান্তের সংখ্যায় চীন ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে যুক্তরাষ্ট্র। চীনকে ছাড়িয়ে গেছে ইতালিও। আর মৃত্যুর সংখ্যায় ইতালির পর স্পেনও চীনকে ছাড়িয়ে গেছে। চীনে আক্রান্তের সংখ্যা ৮১ হাজার ৩৯৪। মারা গেছেন তিন হাজার ২৯৫ জন।
করোনাভাইরাস সংক্রমণে যুক্তরাজ্যে গতকাল আরও ২৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। দেশটিতে এ ভাইরাসের সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পাওয়ার ঘটনা এটি। এ নিয়ে যুক্তরাজ্যে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ১৯ জনে দাঁড়িয়েছে। আক্রান্তের মোট সংখ্যা বেড়ে ১৭ হাজার ৮৯ জনে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত করোনা শনাক্ত রোগী ৪৮ জন। সরকারি হিসাবে মোট মৃত্যু হয়েছে ৫ জনের। তবে শনিবার পর্যন্ত নতুন করে কেউ আক্রান্ত হয়নি।
প্রসঙ্গত ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেইপ্রদেশের রাজধানী উহান শহর থেকে ছড়িয়ে পড়ে করোনাভাইরাস। চীনে ৮০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হলেও সেখানে ভাইরাসটির প্রাদুর্ভাব কমে গেছে। তবে বিশ্বের অন্যান্য দেশে এ ভাইরাসের প্রকোপ বাড়ছে।