দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় ব্যাংকগুলো এক ধরনের সতর্কতা জারি করেছে। কর্মকর্তা ছাড়া প্রধান কার্যালয়গুলোতে অন্যদের প্রবেশ নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। প্রধান কার্যালয় থেকে শুরু করে শাখাগুলোতেও নিরাপত্তামূলক নানা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ পরীক্ষাসহ সব ধরনের অনুষ্ঠান।
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলোতে লেনদেন অর্ধেকে নেমে এসেছে। তবে অনলাইন সেবায় চাপ বেড়েছে। এ জন্য ব্যাংকিং লেনদেনের সময় কমিয়ে আনার দাবি জানিয়েছেন ব্যাংকের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা। বর্তমানে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ব্যাংকিং সেবা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, জরুরি পরিস্থিতিতে কীভাবে ব্যাংকিং কার্যক্রম চালিয়ে নেওয়া যায়, তার প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। তারই অংশ হিসেবে ব্যাংকগুলো কর্মীদের দুই ভাগে ভাগ করেছে। একটি দল অফিস করবে, আরেকটি দল ছুটিতে থাকবে অথবা বাসায় থেকে কাজ করবে। সাপ্তাহিক ভিত্তিতে তা পরিবর্তিত হবে। ইতিমধ্যে বেসরকারি খাতের ইস্টার্ণ, ব্যাংক এশিয়া, দি সিটি, ব্র্যাক, এনআরবিসহ কয়েকটি ব্যাংক এ উদ্যোগ নিয়েছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি, আইডিএলসি, লঙ্কাবাংলা একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কাল রোববার থেকে অন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানও একই পথে যাবে বলে জানা গেছে।
জানতে চাইলে এনআরবি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মেহমুদ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি। আরও অনেক ব্যাংক একইভাবে কর্মীদের নিরাপদ রাখতে ও সেবা চালিয়ে যেতে পরিকল্পনা করেছে।’
এদিকে ব্যাংকগুলোতে নগদ লেনদেন ও চেকের পরিমাণ কমে আসায় ব্যাংকিং কার্যক্রম সীমিত করার দাবি উঠেছে। তবে ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীরা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা ছাড়া কার্যক্রম সীমিত করার সুযোগ নেই।
জানতে চাইলে সিটি ব্যাংকের এমডি মাসরুর আরেফিন বলেন, ‘আমাদের ব্যাংকে জরুরি প্রয়োজনে যেসব কর্মী প্রয়োজন, শুধু তাঁরাই অফিস করবেন। অন্যরা বাসায় বসে কাজ করবেন অথবা ছুটিতে থাকবেন।’
সামগ্রিক বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম বলেন, এখন পর্যন্ত কার্যক্রম সীমিত করে আনার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোববার সিদ্ধান্ত হবে। সুত্র: প্রথম আলো।
জেএম/রাতদিন