ভারত থেকে পালিয়ে বাংলাদেশ ঢুকেছে ১৩০০ রোহিঙ্গা

মিয়ানমারে ফেরত পাঠনোর শঙ্কা থেকেই ভারত থেকে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে ঢুকেছে কমপক্ষে ১৩০০ রোহিঙ্গা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিজনেস ডে এক প্রতিবেদন এ খবর প্রকাশ করেছে।

বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছেন বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ফিরাস আল খাতিব।

২০১২ সাল থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতীয় কারাগারে সাজা ভোগ করা ৭ জন রোহিঙ্গাকে গত বছরের ৪ অক্টোবর মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় দেশটি। দ্বিতীয় দফায় ৩ জানুয়ারি ৫ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করে ভারত। এছাড়াও বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের ৩ সন্তাকে উত্তর-পূর্ব আসামে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ঘটনাটি ছিল ২০১৪ সালে এবং তারা কারাভোগও করেছেন।

রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী উল্লেখ করে তাদের ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার ।

এ সম্পর্কিত আরও খবর...

সুত্র মতে, ভারতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে এসে আশ্রয় নেয় তারা। আশ্রয় শিবির গুলোতে এদের বেশিরভাগেই বসবাস করছে । আবার অনেক রোহিঙ্গাকে অবৈধভাবে অনুপ্রবেশের দায়ে আটক করে অভিবাসী কেন্দ্রে রাখা হয় ।

জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেশনে স্বাক্ষর করেনি ভারত । ২০১৮ সালে ২৩০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে ভারতের পুলিশ। বারবারই রোহিঙ্গাদের বিতারণের দাবি জানিয়ে আসছে কট্টরপন্থী হিন্দুরা । এনিয়ে সেখানে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গারা শঙ্কার মধ্যে ছিল।

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত। এই ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘসহ আরও অনেক আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংগঠন । ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালও মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে সহিংসতা চলমান থাকার পরেও ভারতের এই ধরনের পদক্ষেপের জন্য সমালোচনা করেছে।

জাতিসংঘ ও বিভিন্ন বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন গুলোর সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারসেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের মুখপাত্র নয়ন বোস জানান, ‘এখন পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে ৩০০ পরিবারের মোট ১৩০০ জন রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। তাদের সবাইকে জাতিসংঘের ট্রানজিট সেন্টারে আশ্রয় দেয়া হয়েছে। ৩ জানুয়ারি থেকে রোহিঙ্গাদের এই নতুন ঢল শুরু হয় বলে উল্লেখ করেন তিনি।”

এমআরডি-১৮/০১/২০১৯