রংপুরে কামরুল হাসান দুলাল নামে এক ব্যাক্তির জামিন না মজ্ঞুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। গত ৯ সেপ্টেম্বর দায়ের করা এক প্রতারনা মামলার প্রধান আসামী তিনি।
আজ বৃহস্পতিবার, ২৩ সেপ্টেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটান ম্যাজিষ্ট্রেট কোতয়ালী আমলী আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর আলম এ আদেশ দেন।
রংপুর নগরীর শালবন মিস্ত্রিপাড়া এলাকার সাজ্জাদুল হাসান আল মামুন শামীম গত ৯ সেপ্টেম্বর রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী আমলী আদালতে বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
মামলায় বাদী অভিযোগ করেন রংপুর নগরীর হাজিরহাট থানার রনচন্ডি ডাক্তার পাড়া গ্রামের কামরুল হাসান দুলালসহ ৫ আসামীর কাছে তাদের ৭৬ শতক জমি কেনার জন্য রেজিষ্টারী বায়না দলিল হয়। পরে ওই জমি রংপুর মেট্রোপলিটান পুলিশ বাহিনীর অফিস নির্মান করার জন্য অধিগ্রহন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
সরকারী হিসাব অনুযায়ী আসামী কামরুল হাসান দুলাল ও তার ভাইসহ স্বজনরা ওই জমির মোট এক কোটি৩৮ লাখ টাকা ক্ষতি পুরন বাবদ সরকার থেকে পাবার কথা। যেহেতু মামলার বাদীর সাথে আগেই জমি বিক্রয় করার জন্য বায়না দলিল হয়েছে সে কারনে ক্ষতিপুরনের অর্থ থেকে বাদীও প্রায় ২৮ লাখ টাকা প্রাপ্য হন।
কিন্তু আসামীরা বাদীকে না জানিয়ে জমির পুরো ১ কোটি ২৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে নেন। অথচ আইন অনুযায়ী বায়নার দলিল অনুযায়ী বাদী ৩৮ লাখ টাকা দেবার কথা থাকলেও কোন টাকাই দেননি। বরং আসামীরা বাদী শামীমকে আটক করে তার কাছে থাকা মুল বায়না দলিল কেড়ে নেয় এবং তাকে মারধর করে।
এঘটনায় বাদী রংপুর মেট্রোপলিটান কোতয়ালী আমলী আদালতে দন্ড বিধি আইনের ৩৮৬/৩৮৭/৪২০/৪০৬ ধারায় মামলা দায়ের করে। বিজ্ঞ বিচারক শুনানী শেষে মেট্রোপলিটান কোতয়ালী থানার ওসিকে বাদীর অভিযোগটি এজাহার হিসেবে রেকর্ড করার আদেশ দেন। সেই সাথে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআই রংপুরের পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দেন।
মামলার প্রধান আসামী কামরুল হাসান দুলাল রংপুর মেট্রোপলিটান আমলী আদালত কোতয়ালীর বিচারক জাহাঙ্গীর আলমের আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক আসামী দুলালের জামিনের আবেদন না মজ্ঞুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কোর্ট সিএসআই আব্দুল বারী আসামীর জামিন না মজ্ঞঝুর করে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জেএম/রাতদিন