ডিজিটাল এক্স রে, থার্মাল ইমেজিং, আল্ট্রাসোনোগ্রাফির মতো রোগ নির্ণয়ের যন্ত্র আছে। আছে ঘুমপাড়ানি বন্দুক, কোয়ারান্টাইন ব্যবস্থা। চিকিৎসকও আছেন।
এতসব সুবিধা নিয়েই চালু হয়েছি হাসপাতালটি। ১২ হাজার বর্গফুটের হাসপাতালটি গড়ে উঠেছে যমুনা নদীর তীরে। পাশেই পাশেই ঘন জঙ্গল। যেখানে রয়েছে অসংখ্য হাতি।
ওয়াইল্ড লাইফ এসওএস নামের হাসপাতালটিতে বর্তমানে ২৪টি হাতির নানা ধরণের চিকিৎসা-যত্ন চলছে।
এটি ভারতের উত্তরপ্রদেশের মথুরায় চালু হয়েছে। একটি বেসরকারি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার উদ্যোগে চালু হওয়া হাসপাতালটি দেশটিতে প্রথম কোনো হাতির জন্য হাসপাতাল। ২০১৮ সালের নভেম্বরে এটি চালু হয়।
আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, হাসপাতালটিতে পর্যটকরা যেতে পারবেন। পর্যটকদের আকর্ষণ করাসহ নিরাপত্তারও ব্যবস্থা রয়েছে সেখানে।
হাসপাতালের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বলেন, পোষা হাতি দিয়ে শুধু নিজের কাজ সারতে হবে এমন নয়। তার যত্নও নিতে হবে।
হাতি হচ্ছে ভারতীয় সংস্কৃতির অন্যতম অংশ। এ ছাড়া শিকারীর কবলে পড়ে কিংবা ট্রেনে কাটা পড়েও হাতি মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে দেশটিতে। এর বাইরে বিদ্যুতের তার দিয়ে হাতিকে আঘাত বা ধারালো কোনো জিনিস দিয়ে আঘাত করে পোষ মানানোর জন্যও অসুস্থ হয়ে পড়ছে অনেক হাতি। মূলত এসব চিন্তা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে সেই হাসপাতাল।
খবরে বলা হয়, এশিয়ার প্রায় অর্ধেকেরও বেশি হাতি রয়েছে ভারতে। ২০১২ সালে দেশটিতে হাতির সংখ্যা ছিল ৩০ হাজার ৩১১টি। ২০১৭ সালে তা কমে দাড়িয়েছে ২৭ হাজার ৩১২টিতে।
হাতিদের জন্য হাসপাতাল চালুর উদ্যোগে স্বাগত জানিয়েছে প্রাণী অধিকার রক্ষা সংগঠনগুলো।
এইচএ/রাতদিন