করোনায় কলকাতায় প্রথম মৃত্যু

কোভিড-১৯ বা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কলকাতায় প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।  সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু  ৫৭ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির। দমদমের ওই বাসিন্দার বিদেশযাত্রার কোনও রেকর্ড নেই।

আনন্দবাজারে খবরে বলা হয়, গত ১৬ মার্চ জ্বর-সর্দি-কাশি নিয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন। হাসপাতালের ক্রিটিকাল কেয়ার টিমের তত্ত্বাবধানে এক্সট্রাকর্পোরিয়েল মেমব্রেন অক্সিজেনেশনে (একমো) রাখা হয়েছিল তাঁকে। তার মধ্যেই আজ সোমবার, ২৩ মার্চ তার শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হয়। পরে স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় তাঁর মৃত্যু হয়।

পশ্চিমবঙ্গের  মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মাকে নির্দেশ দেন, যে ব্যক্তি মারা গিয়েছেন, তাঁর মৃতদেহ থেকে যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়, সে দিকে নজর দিতে হবে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে,  মৃতের পরিবার এবং তাঁর পরিচিতদের মধ্যে কয়েকজনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। বাকিদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।

স্বাস্থ্যভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রয়াত ওই ব্যক্তির বিদেশযাত্রার কোনও রেকর্ড না থাকলেও, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি এক আত্মীয়ের বিয়েতে যোগ দিতে বিলাসপুর গিয়েছিলেন তিনি। ২ মার্চ পুণে-হাওড়া আজাদ হিন্দ এক্সপ্রেসে চেপে কলকাতা ফেরেন। মহারাষ্ট্রের পুণেতেই যেহেতু করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তাই রেলপথেও ওই ব্যক্তি সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। বিয়েবাড়িতেও কয়েক’শ মানুষের সংস্পর্শে আসেন তিনি। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ট্রেনে চেপে ফিরেছেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের সকলকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

মৃত ব্যক্তি রেলের উচ্চপদস্থ কর্মী ছিলেন। গত ১০ মার্চ অসুস্থ বোধ করার আগে জন্মদিন উপলক্ষে স্ত্রীর সঙ্গে নিউটাউনের একটি শপিংমলেও যান। সল্টেলেকের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আগে দুই চিকিৎসক তাঁকে দেখেন। এক জন ল্যাব টেকনিশিয়ান বাড়িতে এসে রত্কের নমুনা নিয়ে যান। তার পর এক্সরে করাতে বাড়ির কাছের একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারেও যান ওই ব্যক্তি। সেইসময় রিকশআচালক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এক কর্মী তাঁর সংস্পর্শে আসেন। তাঁদের চিহ্নিত করার চেষ্টা চলছে।

এবি/রাতদিন