নতুন আক্রান্তের একজন এসেছেন ভারত থেকে

দেশে করোনাভাইরাসে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিনজনে। নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন আরও ছয়জন। ফলে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৩ জনে।

আজ সোমবার, ২৩ মার্চ বিকেলে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত অনলাইন লাইভ ব্রিফিংয়ে রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা এ তথ্য জানান।

তিনি জানান, যে ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ১৩ জনই বিদেশ থেকে এসেছেন। এর মধ্যে ইতালির ছয়জন, যুক্তরাষ্ট্রের তিনজন, ইউরোপের অন্যান্য দেশে থেকে দুইজন, বাহরাইন থেকে একজন এবং কুয়েত থেকে একজন এসেছেন। বাকি ২০ জনই হচ্ছেন ওই বিদেশ থেকে আসা ১৩ জনের মাধ্যমে কোনো না কোনোভাবে সংক্রমিত। আক্রান্তদের মধ্যে দীর্ঘমেয়াদী রোগ রয়েছে ১১ জনের। এদের মধ্যে বেশিরভাগেরই অবস্থা স্থিতিশীল। একজনের কিডনির সমস্যা থাকায় তার ডায়ালাইসিসও চলছে।

ডা. ফ্লোরা বলেন, ‘নতুন যে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছেন, এদের ৩ জন পুরুষ ও ৩ জন নারী। তাদের বয়ন ২০ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩০ থেকে ৪০ এর মধ্যে ২ জন, ৪০ থেকে ৫০ এর মধ্যে ১ জন, ষাটোর্ধ ২ জন, এরমধ্যে ১ জনের বয়স ৭০ বছরের উপরে। এদের ২ জন দেশের বাইরে থেকে এসেছেন, ভারত ও বাহরাইন থেকে। এদের ২ জনের মধ্যে অন্য দীর্ঘমেয়াদী রোগ ছিল।’

তিনি জানান, এই ৬ জনের মধ্যে ১ জন স্বাস্থকর্মী রয়েছেন।

আইইডিসিআর পরিচালক বলেন, এ পর্যন্ত রোগীদের মধ্যে পুরুষ দুই-তৃতীয়াংশ, এক-তৃতীয়াংশ নারী। বয়সে দশ বছরের নিচে দুজন, ১০ থেকে ২০ বছরের মধ্যে একজন, ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে নয়জন, ৪০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে পাঁচজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে একজন এবং ষাটোর্ধ্ব রয়েছেন ছয়জন। জেলাভিত্তিক আক্রান্তের মধ্যে ঢাকার রয়েছেন ১৫ জন, মাদারীপুরের ১০ জন, নারায়ণগঞ্জের তিনজন, গাইবান্ধার দুইজন এবং কুমিল্লা, গাজীপুর ও চুয়াডাঙ্গার রয়েছেন একজন করে।

ডা. ফ্লোরা জানান, নতুন করে আক্রান্ত ছয়জনের একজন স্বাস্থ্যকর্মী। এই নিয়ে দেশে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে নার্স দুজন, চিকিৎসক একজন।

ব্রিফিংয়ের শুরুতে করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে নাগরিকদের করণীয় তুলে ধরেন ডা. ফ্লোরা।

গত ডিসেম্বরের শেষ দিকে চীনের উহানে প্রথম শনাক্ত হওয়া করোনাভাইরাস এখন বৈশ্বিক মহামারি। এতে সারাবিশ্বে এখন পর্যন্ত প্রায় সাড়ে তিন লাখ মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ১৪ হাজার ৬৯৮ জন। এছাড়া চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন প্রায় ৯৯ হাজার ১৩ জন।

বাংলাদেশে এ ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে গত ৮ মার্চ। এরপর দিন দিন এ ভাইরাসে সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েছে। সবশেষ সরকারি হিসাবে, দেশে এখন পর্যন্ত ৩৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন, মারা গেছেন তিনজন।

এবি/রাতদিন