রংপুরের ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি কারমাইকেল কলেজ। ১৯৯০ সালের পর থেকে থেকে এই প্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে ব্যর্থ কলেজ কর্তৃপক্ষ। ছাত্র সংসদ নির্বাচন দিতে ব্যর্থতা কেন অবৈধ হবে না, জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
কলেজটির পাঁচ শিক্ষার্থীর করা রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল দেন।
রিট আবেদনকারীদের আইনজীবী এ এইচ ইমাম হাসান রুলের বিষয়টি জানিয়েছেন।গত শুক্রবার, ৩০ আগস্ট কলেজটির পাঁচ শিক্ষার্থী রিটটি করেন।
আজ , ১৭ সেপ্টেম্বর আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী অনীক আর হক ও এ এইচ ইমাম হাসান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
পরে এ এইচ ইমাম হাসান বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কারমাইকেল কলেজের অধ্যক্ষসহ পাঁচ বিবাদীকে ৪ সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদন দায়েরকারী ৫ জন ছাত্র হলেন, কারমাইকেল কলেজের ছাত্র ওসমান গণি, মো. আবু নাঈম আলিফ, সাফায়েত রহমান, মো. তাহা ইয়াসিন দিপ্ত, মো. সোহেল রানা প্রিন্স
কলেজ সূত্র থেকে জানা যায়, কারমাইকেল কলেজে বিভিন্ন কোর্সে প্রায় ২৭ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। ১৯৯০ সালে কলেজে শেষবারের মতো ছাত্র সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই ছাত্র সংসদ ভেঙে দেওয়ার পর আর নির্বাচন হয়নি। নির্বাচনের কোনো উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে, ছাত্র সংসদ নির্বাচন না হওয়ায় শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত হওয়ার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে ছাত্রসংগঠনগুলো তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না।
শান্ত/রাতদিন