রাজধানীর বনানীর এফ আর টাওয়ারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ভবনটিতেই পুড়ে মারা গেছেন রুমকি আক্তার। আর তার স্বামী আগুন থেকে বাঁচতে ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ে নিহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে এসে রুমকির লাশ শনাক্ত করেন তার স্বামী মাকসুদুর রহমানের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ।
নিহত মাকসুদুর রহমানের খালাতো ভাই ইমতিয়াজ আহমেদ বলেন, বনানীর ওই ভবনের ১০ অথবা ১১ তলায় একটি ট্রাভেল এজেন্সিতে মাকসুদুর ও রুমকি চাকুরি করতো। আগুন লাগার কিছুক্ষণ পরই মাকসুদুর লাফিয়ে পড়ে মারা যান। আর তার স্ত্রী রুমকি নিখোঁজ ছিলেন। পরে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রুমকির লাশ পাওয়া গেছে।
নিহত রুমকি নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার আশরাফ আলীর মেয়ে। মাকসুদ-রুমকি দম্পতির কোনো সন্তান ছিল না। তারা রাজধানীর গেন্ডারিয়ার আলমগঞ্জ এলাকায় নিজ বাড়িতে থাকতেন। আর তার স্বামীর বাড়ি রাজধানীর পুরান ঢাকায়।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিটের দিকে ভবনটির ৯ তলা থেকে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়। পরে এ আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো ভবনে।
এবি/রাতদিন