বাংলাদেশ ও নেপালের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের অংশ হিসেবে প্রিফারেন্সিয়াল ট্রেড এগ্রিমেন্ট (পিটিএ) দ্রুত বাস্তবায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘পিটিএ দ্রুত বাস্তবায়ন করা গেলে দুই দেশ ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে ব্যাপক সুবিধা লাভ করবে।’
১৮তম ন্যাম সম্মেলনের পাশাপাশি শনিবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শার্মা ওলির সঙ্গে বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন।
বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
শহীদুল হক বলেন, দুই প্রধানমন্ত্রী যোগাযোগ, বন্দর সুবিধা এবং ব্যবসা-বাণিজ্য জোরদারের বিষয়ে আলোচনা করেন। বিবিআইএন (বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ও নেপাল) উদ্যোগ সম্পর্কে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটির বাস্তবায়নে ভুটানের একটি সমস্যা রয়েছে। তবে নেপাল এটি বাস্তবায়নে সম্মত হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ভারত এবং নেপালের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছি, নয়াদিল্লির কাছেও উত্থাপন করেছি এবং এর মাধ্যমে বিবিআইএনকে আমরা কার্যকর করতে পারি।’
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ আগামী মাসে নেপাল সফর করবেন উল্লেখ করে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘সফরকালীন বিবিআইএন এবং পিটিএসহ বাংলাদেশ এবং নেপালের মধ্যকার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং এ সম্পর্কে অগ্রগতি পর্যালোচনার কথা রয়েছে।’
একই সঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার বিষয়েও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে আলোচনা হয়।
এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, সবাই মিলেই দক্ষিণ এশিয়ায় শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। এ বিষয়ে নেপালের প্রধানমন্ত্রী এই অঞ্চলে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা বজায় রাখার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদিচ্ছা পোষণেরও আহ্বান জানান।