বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে চিঠি লিখবেন। আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে খালেদার পরিবারের সদস্যরা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়াতে লিখিত আবেদন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করবেন। সেসময় প্রধানমন্ত্রীর হাতে এ চিঠি পৌঁছে দেয়া হবে।
একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্রের বরাত দিয়ে এ খবর প্রকাশ করেছে অনলাইন সংবাদমাধ্যম জাগোনিউজ।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলোর উদ্ধৃতি দিয়ে খবরে বলা হয়, আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার শর্তসাপেক্ষে মুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। তার আগেই মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করবে খালেদার পরিবার। সেজন্য অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ খালেদা জিয়ার চার আইনজীবী তার পরিবারের সঙ্গে সমন্বয় করে মুক্তির মেয়াদকাল বাড়ানোর আবেদনের একটি খসড়া প্রস্তুত করেছেন।
খবরে বলা হয়, মুক্তির মেয়াদকাল বাড়ানোই শুধু নয়, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে খালেদার পরিবারের সদস্যরা তাকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দেয়ার জন্যও আবেদন করবেন। এসময় খালেদা জিয়ার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠিও দেয়া হবে।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দুটি মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে থাকা খালেদা জিয়াকে ২৫ মাসের মাথায় গত ২৫ মার্চ শর্তসাপেক্ষে মুক্তি দেয় সরকার। করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে মানবিক দিক বিবেচনায় ছয় মাসের জন্য সাজা স্থগিত করে এ মুক্তি দেয়া হয়। তিনি বাসায় থেকে চিকিৎসা নেবেন এবং বিদেশ যেতে পারবেন না, এমন শর্তে সাজা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। শর্তসাপেক্ষে মুক্তির পর সেদিন গুলশানের ভাড়া বাসা ‘ফিরোজা’য় ওঠেন খালেদা জিয়া। এখন সেখানেই আছেন তিনি।
এবি/রাতদিন