প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে দেয়া পাকা বাড়ি পাচ্ছে লালমনিরহাট জেলার ৯৭৮টি ভুমিহীন পরিবার। এর বাইরেও ধরলা আর তিস্তা নদী বেষ্টিত এই জেলায় ৪৯.৭২ একর জমিও পাচ্ছে এসব পরিবার।
বৃহস্পতিবার, ২১ জানুয়ারী দুপুরে জেলা প্রসাশকের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক আবু জাফর।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা প্রশাসক জানান, বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না – প্রধানমন্ত্রীর এ ঘোষনা বাস্তবায়ন করতে আশ্রয়ণ প্রকল্প -২ গ্রহন করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে এ জেলায় প্রথম পর্যয়ে ৪৯.৭২ একর জমিসহ পাকা ঘর পাচ্ছেন জেলার ৯৭৮টি ভুমিহীন পরিবার।
জরিপের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রনয়ন করা হয়েছে। জরিপ অনুযায়ী জেলায় ক ও খ শ্রেণিভুক্ত ভুমিহীন পরিবারের সংখ্যা ১২ হাজারের উপরে। এর মধ্যে ক শ্রেণিভুক্তি গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবার ৫হাজার ৫১৮টি। এদের মধ্যে প্রথম পর্যয়ে ৯৭৮টি পরিবারের জন্য ৪৯.৭২ একর খাস জমিতে গৃহ নির্মাণ করে প্রস্তুত করা হয়েছে।
তিনি জানান, ছোট-খাট সমস্যার কারণে কিছু কাজ বাকী রয়েছে। যা এরই মধ্যে শেষ করা হবে। আগামী শনিবার ২৩ জানুয়ারী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, ক শ্রেণিভুক্ত ৫হাজার ৫১৮টি পরিবারের মধ্যে সদর উপজেলায় এক হাজার ১৬২টি, আদিতমারীতে এক হাজার ৬৬১টি, কালীগঞ্জে ৪২০টি, হাতীবান্ধায় এক হাজার ৯১৮টি ও পাটগ্রাম উপজেলায় ৩৫৭টি গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
প্রথম পর্যয়ে সদরে ১৫০টি, আদিতমারীতে ১৩০টি, কালীগঞ্জে ১৫০টি, হাতীবান্ধায় ৪২৫টি ও পাটগ্রামে ১২৩টি ভুমিহীন পরিবারকে নতুন ঘর ও পরিবার প্রতি দুই শতাংশ হারে জমির রেজিস্ট্রি কাগজ উপহার দেয়া হচ্ছে। আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘরের টিনের রঙ দেয়া হয়েছে লাল।
বাকী ভুমিহীন পরিবারগুলোকে পর্যয়ক্রমে পুনবাসন করা হবে বলেও জানান জেলা প্রশাসক।
প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলা প্রশাসক আবু জাফর বলেন, সুবিধাভোগীর তালিকায় প্রভাবশালীর নাম পাওয়া গেলে তা তদন্ত করে নাম পরিবর্তন করে প্রকৃত ভুমিহীনদের বরাদ্ধ দেয়া হবে। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প -২ এর সুবিধাভোগীদের স্বাবলম্বী করা হবে।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) রফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) রাশেদুল হক প্রধানসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এনএ/রাতদিন