প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি মিথ্যা অপপ্রচার চালিয়ে দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে। বিভিন্ন উপনির্বাচনে তারা প্রার্থী দেয়। নির্বাচনের আগে খুব হইচই করে। কিন্তু নির্বাচনের দিন দুপুরে পরাজয়ের ভয়ে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। মূলত নির্বাচনের প্রশ্নবিদ্ধ করতেই তারা এরকম করে।’
তিনি বলেন, আপনারা যা ইচ্ছা লিখতে পারেন, এতে হয়তো পত্রিকার কাটতি বাড়বে। হয়তো এনজিওর জন্য বিদেশি ফান্ড আসবে। কিন্তু এই ফান্ড কোথায় যায় ভবিষ্যতে এটার হিসাব নেওয়া শুরু করব।
আজ বৃহস্পতিবার, ১৯ নভেম্বর দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সম্পাদকমণ্ডলীর সভায় ভিডিও কনফারেন্সে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে দেশি-বিদেশি নানা ষড়যন্ত্র চলছে। ফেসবুক-ইউটিউবে গুজবে অপপ্রচার চলছে৷ এসবের ওপর ভিত্তি করে সম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের অপচেষ্টা চলছে, আমরা দেখতে পাচ্ছি।’
সমালোচকদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সমালোচনা হলে ভালো, এতে সরকারের কার্যক্রমের ভালোমন্দ আমরা বুঝতে পারি। কিন্তু অপপ্রচার কেন? সমালোচনায় আমাদের আপত্তি নেই, ভালো কাজ করলে সেটা একটু স্বীকার করবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, আমরা প্রত্যন্ত এলাকাতেও চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করার চেষ্টা করেছি। এমনও সময় ছিল যখন হাঁচি দিলেও অনেকে বিদেশে চিকিৎসা করাতে যেত। করোনাভাইরাস আমাদের শিখিয়েছে দেশেই চিকিৎসা সেবা নেওয়া সম্ভব।
তিনি বলেন, এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে আগাম ভ্যাকসিন অর্ডার করেছে সরকার। করোভাইরাস পরবর্তী সময়ে যেন খাদ্য সংকট তৈরি না হয় এজন্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। খাদ্য সংকট যেন তৈরি না হয় এজন্য সকলকে সতর্ক থাকতে হবে।
এবি/রাতদিন