নীলফামারীর সৈয়দপুরে নিষিদ্ধ ঘোষিত টাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রি ও সেবনের দায়ে দুই ব্যক্তিকে পৃথক মেয়াদে কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আজ বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট ভ্রাম্যমান আদালতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলম ওই রায় দেন।
দন্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছে দিনাজপুরের পাবর্তীপুর উপজেলার বেলাইচন্ডী সোনাপুকুর এলাকার মৃত. রইসুল ইসলামের ছেলে মাহমুদুল হাসান(২৮) এবং সৈয়দপুর শহরের নিয়ামতপুর বাস টার্মিনাল শুটকি আড়ত এলাকার মো. সামসুল ইসলামের ছেলে নজরুল ইসলাম (২২)। এদের মধ্যে মো. মাহমুদুল হাসানকে তাঁর ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের ফ্রেন্ডস্ মেডিক্যাল স্টোরে নিষিদ্ধ ঘোষিত টাপেন্টাডল রেখে বিক্রির দায়ে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা এবং নজরুল ইসলামকে টাপেন্টাডল সেবনের দায়ে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও পাঁচশত টাকা করা হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, আজ বৃহস্পতিবার, ২০ আগস্ট সৈয়দপুর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলমের উপস্থিতিতে সৈয়দপুর থানা পুলিশের একটি দল বিশেষ অভিযান চালিয়ে শহরের নিয়ামতপুর বাস টার্মিনাল শুটকি মোড় এলাকা থেকে নজরুল ইসলামকে দুই পিস টাপেন্টাডলসহ হাতেনাতে আটক করেন। এ সময় সে শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের ফ্রেন্ডস্ মেডিক্যাল স্টোর থেকে টাপেন্টাডল কিনেছে বলে পুলিশকে জানান।
পরে তাঁর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের ফ্রেন্ডস্ মেডিক্যাল স্টোরে অভিযান চালিয়ে ২১ পিস নিষিদ্ধ ঘোষিত টাপেন্টাডল উদ্ধার করা হয়। পরে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত টাপেন্টাডল বিক্রি ও সেবনের দায়ে উল্লিখিত দুই ব্যক্তিকে পৃথক পৃথক মেয়াদের সাজা প্রদান করা হয়েছে।
ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. রমিজ আলম। এ সময় সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক মো.সাহিদুর রহমান, সৈয়দপুর কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নজরুল ইসলাম মোস্তফা, ওষুধ ব্যবসায়ী মো. আসলাম ও এজাজ আহমেদ প্রমূখ ্উপস্থিত ছিলেন।
সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) মো. আতাউর রহমান ভ্রাম্যমান আদালতে নিষিদ্ধ ঘোষিত টাপেন্টাডল বিক্রি ও সেবনের দায়ে দুই ব্যক্তির সাজার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, কারাদন্ডপ্রাপ্তদের নীলফামারী কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই ব্যথানাশক হিসেবে ব্যবহৃত টাপেন্টাডলকে ‘খ’ শ্রেণির মাদক হিসেবে ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করে সরকার।
এবি/রাতদিন