অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সুদিন ফিরবে

সারা বিশ্বে বছরে অর্ধ শতাধিক সাংবাদিক হত্যার শিকার হন। গড়ে কারাবন্দী হচ্ছেন চার শ’র কাছাকাছি। দেশে দেশে লোকরঞ্জন বাদের উত্থান। কর্তৃত্ববাদী শাসন ব্যবস্থা। এসবের মধ্যে সাংবাদিকতা কতটা এগোতে পারছে? অনুসন্ধানী সাংবাদিকতারই ভবিষ্যৎ কী? এসব প্রশ্ন মাথায় নিয়ে গত সেপ্টেম্বরে জার্মানির হামবুর্গে যাওয়া। সেখানে বসেছিল অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় জমায়েত ‘গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স’ এর ১১তম আসর।

২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর—মূল আয়োজন মাত্র চার দিনের। এই সংক্ষিপ্ত সময়ে প্রায় ২৫০টিরও বেশি প্যানেল আলোচনা, ওয়ার্কশপ ও নেটওয়ার্কিং ছিল। বিশাল এই আয়োজন থেকে আর কতটাই নেওয়া সম্ভব একজন সাংবাদিকের। তবে আশাহত হতে হয়নি। ১৩০টি দেশের প্রায় ১ হাজার ৭০০ সাংবাদিকের মিলিত হওয়ার মধ্য দিয়ে অর্জনটা হয়েছে, তা হচ্ছে ‘সাহস’। দক্ষিণ এশিয়ার একপ্রান্তে আমার কর্মস্থল হলেও আমি যে একা নই, সেই সাহসটাই পেয়েছি সেই সম্মেলন থেকে। মনে হয়েছে, সামনে হয়তো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সুদিন ফিরবে।

সবচেয়ে বেশি যে বিষয়টি আমাকে আপ্লুত করেছে তা হলো সবার কাছ থেকে সবার জানতে চাওয়ার প্রবণতা। একে অপরের কাছ থেকে শিখতে চেয়েছেন নতুন কিছু। পশ্চিমা স্বনামধন্য গণমাধ্যম থেকে শুরু করে এশিয়া বা আফ্রিকার ‘কোণঠাসা’ গণমাধ্যমের সাংবাদিকেরা সবাই নিজেকে একই পথের পথিক ভেবেছেন। এ জন্যেই দেখা গেছে যিনি এক সেশনে বক্তা হিসেবে অন্যদের শিখিয়েছেন। তাকেই দেখা গেল অন্য সেশনে মন্ত্রমুগ্ধের মতো অন্য আরেকজনের বক্তব্য শুনছেন। এমনকি আসন না পেয়ে মেঝেতে বসেও এক সেশনের বক্তা অন্য সেশনের অন্য বক্তার বক্তব্য শুনছেন। বিশাল এই আয়োজনে আলোচনা করেন অভিজ্ঞ সাংবাদিক, বিশেষজ্ঞ ও শিক্ষাবিদেরা। এর মধ্যে ১১ জন পুলিৎজার বিজয়ী সাংবাদিকও ছিলেন। পুরো সময়জুড়ে সবার মধ্যে শেখার এবং অভিজ্ঞতা বিনিময়ের তাড়না দেখা গেছে। একেবারে একজন নবীন সাংবাদিকের জানতে চাওয়ার তৃষ্ণা অকাতরে মিটিয়েছেন নামকরা সাংবাদিক ও সম্পাদকেরা।

সম্মেলনের আয়োজক গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্ক (জিআইজেএন)। আর জার্মান সহযোগী ছিলেন নেটজোয়ার্ক রিশের্সে ও ইন্টারলিংক একাডেমি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডায়ালগ অ্যান্ড জার্নালিজম। সম্মেলনে এশিয়া, আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের প্রায় ৭৭ জনকে ফেলোশিপ দেয় নরওয়ের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ক ফাউন্ডেশন স্কুপ। বাংলাদেশ থেকে জার্মানি যাওয়ার ভিসা সংগ্রহ, সুবিধামতো ফ্লাইট টিকিট পেতে এবং জার্মানিতে নামার পর কীভাবে হোটেল পর্যন্ত পৌঁছাতে হবে, সবই আন্তরিকতার সঙ্গে সামলেছেন আয়োজক ও ফেলোশিপ দেওয়া প্রতিষ্ঠান। সবচেয়ে ভালো লেগেছে বাংলাদেশ থেকে আমার অংশগ্রহণও তাদের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ সেটা প্রতিটি পদক্ষেপেই বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেছে আয়োজকেরা।

সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে জিআইজেএন এর নির্বাহী পরিচালক ডেভিড কাপলান বলছিলেন, স্বৈরশাসকেরা ভাবছেন আমরা চলে যাব। কিন্তু আমরা যাচ্ছি না। বরং লড়াইটা আরও জমবে। এখন আরও অনেক বেশি অনুসন্ধানী সাংবাদিক আসছেন। তারা আরও উন্নত টুল ব্যবহার করছেন। তৈরি হচ্ছে নতুন প্রজন্ম। যারা আমাদের চেয়েও ভালো।

সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন ডেভিড কাপলানের সঙ্গে আমার কথা হয়। তাঁর কাছে প্রশ্ন ছিল, এই সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি কী বার্তা দিতে চান? কাপলানের জবাবের মূল বিষয় ছিল ‘সাহস’ ছড়িয়ে দেওয়া। তিনি বলেছিলেন, দুনিয়ার সব সাংবাদিকেরা বিচ্ছিন্ন নন। সবার লক্ষ্য একটাই গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে শক্তিশালী করা। শক্তিশালী শাসকদের প্রশ্নের সম্মুখীন করা। আর এই দুঃসাহসিক কাজ দুনিয়ার যে প্রান্তে যে কোনো সাংবাদিক করুক না কেন, সবাই তাঁর সঙ্গে থাকবে।

সম্মেলনে আফ্রিকা ও মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ পীড়িত অঞ্চলের অনেক সাংবাদিকের অংশগ্রহণ ছিল। তাদের মধ্যে একজন ইরাকের কুর্দিস্থানের সাংবাদিক মুজিব হাবিবজাই। তিনি কাজ করেন ভয়েস অব আমেরিকায়। তিনি বলেছিলেন, প্রতিদিনই গুলি-বারুদ আর ভারী অস্ত্রের লড়াইয়ের মধ্যে তাঁকে কাজ করতে হয়। সত্য বলা সেখানে অনেক কঠিন কাজ। পদে পদে জীবনের ঝুঁকি। সাংবাদিকতা ও নিজের জীবন এই দুটিকে সূক্ষ্ম সুতোর ওপর দিয়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছেন।

সম্মেলন চলাকালে আমিসহ বিভিন্ন দেশের যে সব সাংবাদিক ফেলোশিপ পেয়েছিলেন তাদের জন্য পর পর দুদিন ডিনারের আয়োজন করেন নরওয়ের প্রতিষ্ঠান স্কুপ এর নির্বাহী পরিচালক জন বোনস। তিনি বলেছিলেন, তাদের উদ্যোগের ফলে একজনও যদি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় ভূমিকা রাখতে পারে, সেটাই তাদের পাওয়া।

সম্মেলনে যোগ দিতে ২৫ সেপ্টেম্বর বিকেলে যখন জার্মানির বন্দর নগরী হামবুর্গে পৌঁছাই তখন প্রায় সন্ধ্যা। উষ্ম অঞ্চলের মানুষ হিসেবে উত্তর গোলার্ধের কাছাকাছি এলাকার বৃষ্টি আর হিমেল হাওয়ার সঙ্গে নিজেকে সামলে নেওয়ার চেষ্টা করছি। পরের চার দিন মুগ্ধই করেছে এলবে নদী, বন্দর আর খাল-লেকে ভরা ছিমছাম সুন্দর এই নগরী। সম্মেলন ভেন্যু বন্দরঘেষা হাফেনসিটি ইউনিভার্সিটি ও জার্মানির বিখ্যাত ম্যাগাজিন ডের স্পিগেল। এবারের সম্মেলনটি অংশগ্রহণের দিক থেকে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। এ জন্যে আয়োজকেরাও খুশি। আগতরা সম্মেলন চলাকালে বিনা পয়সায় হামবুর্গ শহরে যাতায়াত করতে পেরেছেন। আমি যেহেতু দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থা নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছি, তাই হামবুর্গের গণপরিবহন দেখে ঢাকার দুরবস্থার কথা মনে পড়েছে। পুরো শহর এবং এর আশপাশের এলাকাকে জল, স্থল ও পাতাল পথ দিয়ে যুক্ত করা হয়েছে। যাকে বহু মাত্রিক (মাল্টি মোডাল) পরিবহন ব্যবস্থার আদর্শ উদাহরণ বলা চলে।

বিভেদ নয়, দরকার একতা

সম্মেলনের শেষ দিন বিদায়ী অনুষ্ঠানে স্মারক বক্তৃতা করেন ফিলিপাইনের জনপ্রিয় গণমাধ্যম র‌্যাপলার এর সম্পাদক মারিয়া রেসা। ১৪ মাসের মধ্যে তাঁর বিরুদ্ধে ফিলিপাইনের সরকার ১১টি মামলা দিয়েছিল। এক মাসের মধ্যে তাঁকে দুবার গ্রেপ্তার করা হয়। তিন মাসের মধ্যে আটবার জামিনের আবেদন করতে হয়েছে। তিনি বলছিলেন, আমি একজন সাংবাদিক এবং সরকারকে জবাবদিহির আওতায় আনতে চাওয়ার চেষ্টা ছাড়া অন্য কোনো অপরাধ করিনি। যে কর্মকর্তা আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছিলেন, তিনি বলছিলেন এটা করা ছাড়া তাঁর কোনো উপায় নেই। আসলে ক্ষমতার মধ্যে থাকার জন্য আমলাদের এই ধরনের কাজ করা স্বাভাবিক ব্যাপার হয়ে গেছে। এই পরিস্থিতে করণীয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই এক হতে হবে। একজনের ওপর আঘাতকে সবার ওপর আঘাত হিসেবে বিবেচনায় নিতে হবে।

উদ্বোধনী সেশনে পাকিস্তানের সবচেয়ে পুরোনো দৈনিক দ্যা ডন এর এডিটর জাফর আব্বাস বলছিলেন, তাঁর দেশে সাংবাদিকতার মূল চ্যালেঞ্জ জঙ্গীবাদ ও সেনাবাহিনী। তিনি মনে করেন দক্ষিণ এশিয়ার সাংবাদিকতায় একে অপরের মধ্যে সংহতির অভাব আছে। ভবিষ্যতে দক্ষিণ এশিয়ায় সাংবাদিকতা করা আরও কঠিন হয়ে উঠবে। তবে আশার কথা হচ্ছে চাপের মুখে পড়ে প্রতিদ্বন্দ্বী সংবাদপত্রগুলোর মধ্যে এক ধরনের সংহতি গড়ে উঠছে।

এই আলোচনা শুনতে শুনতে মনে হচ্ছিল আমাদের দেশেও তো ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন হয়েছে। এই আইনে অনেক সাংবাদিক মামলা, হয়রানি এমনকি গ্রেপ্তারের শিকার হয়েছেন। সাংবাদিকদের মধ্যে অনৈক্য তো চিরায়ত। তাহলে উপায় কী?

এর জবাব এসেছে অর্গানাইজড ক্রাইম ও অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের প্রধান সম্পাদক ড্রিউ সুলিভানের কাজ থেকে। তিনি বলছিলেন, আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে সারা বিশ্বেই সাংবাদিকতায় সহযোগিতার নতুন ক্ষেত্র খুলে যাবে। ফলে পৃথিবীর সব প্রান্তের সাংবাদিকেরা এক হয়ে কাজ করতে পারবেন। এ থেকে আশাবাদী হওয়াই যায়।

ডেটা সাংবাদিকতা, স্টোরি বলার নতুন ধরন

এবারের সম্মেলনে ডেটা সাংবাদিকতার ওপর সবচেয়ে বেশি জোর দেওয়া হয়। সম্মেলনে এ সংক্রান্ত ৬০ এর বেশি সেশনে তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। বেশির ভাগ সেশনেই আসন পূর্ণ ছিল। কোনো কোনো সেশনে মেঝেতে পর্যন্ত জায়গা হয়নি। বিশেষ করে তথ্যপ্রযুক্তিতে সমৃদ্ধ পশ্চিমা সাংবাদিকদেরই বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। গত কয়েক বছরে উইকিলিকস, পানামা পেপারসসহ নানা কেলেঙ্কারির বিষয় ফাঁস হয়েছে। এসব সাইট থেকে বিপুল ডেটা থেকে সংবাদ বের করার ক্ষেত্রে এই সেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান সারাহ কোহেন, ব্রান্ট হাউসটন ও জেনিফার লফ্লেওয়ার। তারা সাংবাদিকতায় ডেটার ব্যবহার নিয়ে কথা বলেন। কীভাবে যন্ত্র ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে বিপুল ডেটা থেকে সংবাদ খুঁজে বের করা যায়, এর ধারণা দেন। তারা দেখিয়েছেন, কীভাবে স্যাটেলাইট থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করতে হবে সেটাও উঠে আসে তাদের আলোচনায়। ওপেন সোর্স ভিডিও, খুদে বার্তা, অডিও ও সামাজিক মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণও সাংবাদিকতায় নতুন মাত্রা এনেছে। যাকে ফরেনসিক অনুসন্ধান বলা হচ্ছে। সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাশোগির হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে প্রতিবেদন করার ক্ষেত্রে নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদক এই ফরেনসিক অনুসন্ধানের আশ্রয় নেন।

সাংবাদিকতার ধরন বদলে যাওয়া নিয়ে ‘দ্যা চেঞ্জিং আর্ট অব স্টোরি টেলিং’ নামে একটা সেশন ছিল। সেখানে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে ছবি, ইনফোগ্রাফিকস ও অ্যানিমেশন ব্যবহারের নানা উদাহরণ তুলে ধরা হয়। আলোচক সুসানে রেবার বলছিলেন, সব সময় মনে রাখতে হবে আপনার প্রতিবেদনের পাঠক কে? তাদের কাছে তথ্যটা কীভাবে সহজবোধ্য হবে, সেটা বিবেচনায় নিতে হবে। এই দুটি সেশনে পশ্চিমা সাংবাদিকদের মধ্যেই বেশি আগ্রহ দেখা গেছে। বাংলাদেশি সাংবাদিক হিসেবে এসব বিষয় আমরা এখনো সেভাবে পরিচিত না। কিন্তু অদূর ভবিষ্যতে হয়তো এই পথে আমাদেরও হাটতে হবে।

মুঠোফোন এখন সাংবাদিকতার একটা বড় জায়গা দখল করছে—এটা বেশ স্পষ্ট হয়ে উঠে সম্মেলনে। মোবাইল জার্নালিজম (মোজো) নিয়ে একটা সেশন ছিল সম্মেলনে। সেই সেশনে তিল ধারণের ঠাঁয় ছিল না। অংশগ্রহণকারীদের আগ্রহ বিবেচনায় নিয়ে পরদিন আরেকটি সেশন দেওয়া হয়। সেখানেও সমান ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।

সম্মেলন থেকে জানা গেলো, এখন ৩০০ কোটি স্মার্টফোন দিয়ে তৈরি অডিও, ভিডিও ও প্রতিবেদন প্রকাশ হয়। সেশনের প্রশিক্ষক ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার লেট্রোব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইভু বুরুম। তিনি দেখাতে চেয়েছেন কীভাবে একটি স্মার্টফোনকে একই সঙ্গে কলম, কম্পিউটার, খাতা এবং ক্যামেরা বানিয়ে ব্যবহার করা সম্ভব। বিভিন্ন কোম্পানির মুঠোফোন দিয়ে কীভাবে অডিও, ভিডিও ও কনটেন্ট তৈরি করতে হয় তা দেখাচ্ছিলেন।

আরব রিপোর্টার্স ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম (আরিজ) পরিচালক রানা সাব্বাহর কথা হচ্ছে, এখনকার ডিজিটাল বিশ্বে মোজো না জানা সাংবাদিকের কোনো অবস্থান নেই। গবেষণা বলছে, ৪০ শতাংশ ভিডিও দেখা হয় মুঠোফোনে। রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এসেছে, মুঠোফোনে নিউজ পড়ার সুযোগ থাকার কারণেই মানুষ খবরের পেছনে টাকা খরচ করে।

মোজোর প্রয়োজনীয়তা বাংলাদেশেও এখন অনুভূত হচ্ছে। জিআইজেএন এর সম্মেলনের দুই ঘণ্টার অভিজ্ঞতায় আসলে সবটা জানা সম্ভব নয়। এটা কেবল ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আরও জানার আগ্রহটা উসকে দিয়েছে।

সূত্র: প্রথম আলো