রপ্তানিতে পণ্যের সংখ্যা বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বাংলাদেশের রপ্তানি শুধু একটা-দুটো পণ্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না। আরও বাড়াতে হবে।’
আজ বুধবার, ১ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এই আহ্বান জানান।
রপ্তানি বহুমুখীকরণের গুরুত্ব তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ জন্য যে সুযোগ-সুবিধা দরকার, তা আমরা করে দেব।’
সারা বিশ্বের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘আমরা সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল করেছি। বাংলাদেশে যারা বিনিয়োগ করবে, তাদের বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেয়া হবে।’
বাংলাদেশের অর্থনীতির উন্নয়ন তুলে ধরে তিনি বলেন, সারা বিশ্বে প্রবৃদ্ধির হার যখন কমছে তখন বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির হার বাড়ছে। বর্তমানে আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ১৫ ভাগ।
তিনি বলেন, প্রত্যেকটা দূতাবাসে আমাদের নির্দেশনা দেয়া আছে, সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশের একটা মার্কেটিং কীভাবে গড়ে তোলা যায়। সেভাবে তাদের নির্দেশনা দেয়া আছে। এখন ডিপ্লোমেসিটা শুধু কূটনীতিকের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখলে চলবে না। এখন ডিপ্লোমেসি করতে হবে ইকোনমিক দিপ্লোমেসি।
দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হিসেবে আইসিটির (তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি) গুরুত্ব তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, আমরা আইসিটিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। যত বেশি ডিজিটাল ডিভাইস করা যাবে ততো আমরা লাভবান হব। আইসিটি একসময় এ দেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সেক্টর হয়ে দাঁড়াবে।
পাট খাতে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পরিবেশ রক্ষার জন্য সারা পৃথিবীতে মানুষ বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। পরিবেশবান্ধব যেসব পণ্য, সেগুলো ব্যবহার করার জন্য মানুষ উদগ্রীব। এ জন্য আমাদের পাট খাতে গুরুত্ব দিতে হবে। দেশি-বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করতে পারেন।’
এছাড়া প্রধানমন্ত্রী আলু, আম, ফলমূল, চিংড়ি শাকসবজি ইত্যাদি প্রসেসিংয়ের মাধ্যমে বিদেশে পাঠাতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস-চেয়ারম্যান ফাতিমা ইয়াসমিন। এ ছাড়া এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম, বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীন প্রমুখ বক্তব্য দেন। উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
এবি/রাতদিন