বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ম্যাচে ৫০ ওভারে বাংলাদেশ টার্গেট দিয়েছে ২৬২ রান। মুশফিকুর রহিম এবং সাকিব আল হাসানের ফিফটিতে আফগানদের বিপক্ষে ২৬২ রানের স্কোর গড়েছে টাইগাররা।
সোমবার, ২৪ জুন ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটনে বিশ্বকাপের ৩১তম ম্যাচে আফগানদের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাট করে বাংলাদেশ। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই সাজঘরে ফেরেন লিটন দাস। দলীয় ২৩ রানে লিটন আউট হওয়ার পর হাল ধরেন সাকিব-তামিম।
বাঁচা-মরার লড়াইয়ের সাকিব-তামিম সাবধানে ব্যাটিং করে ৫৯ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। কিন্তু দলীয় ৮২ রানে মোহাম্মদ নবীর ঘূর্ণিতে বিভ্রান্ত হয়ে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন তামিম ইকবাল। তার আগে ৫৩ বলে ৩৬ রান করেন দেশসেরা এ ওপেনার।
আর এই জুটিতেই ফিফটির পর মুজিব-উর-রহমানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাকিব। তার আগে ৬৯ বলে ৫১ রান করেন তিনি। আর এই রান করার মধ্য দিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ৬ ম্যাচে ৪৭৬ রান সংগ্রহে শীর্ষে বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।
সাকিবের বিদায়ের পর সুবিধা করতে পারেননি সৌম্য সরকার। ওপেনিংয়ের পরিবর্তে পাঁচ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ৩ রানে ফেরেন সৌম্য। দলীয় ৩২ ওভারে ১৫১ রানে লিটন দাস, তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও সৌম্য সরকারের উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
তবে লিটন-তামিমের বিদায়ের পর ১৮তম ওভারে ব্যাটিংয়ে নামা মুশফিক শুরু থেকেই দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন। সাকিব ও মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে ৬১ ও ৫৬ রানের জুটি গড়া মুশফিক, ষষ্ঠ উইকেটে মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতের সঙ্গে ৪৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন।
অন্যবদ্য ব্যাটিং করে সেঞ্চুরির লক্ষ্যে ছিলেন মুশফিক। কিন্তু ইনিংসের শেষ দিকে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে দৌলত জাদরানের বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। তার আগে ৮৭ বলে চারটি চার ও এক ছক্কায় ৮৩ রান করে ফেরেন মুশফিক। ইনিংসের শেষ বলে আউট হওয়ার আগে ২৪ বলে ৩৫ রান করেন মোসাদ্দেক। শেষ পর্যন্ত ৭ উইকেট হারিয়ে ২৬২ রান তুলতে সক্ষম হয় টাইগাররা।
এনএইচ/ রাতদিন