‘উত্তরের অহংকার’ বীরপ্রতীক তারামন বিবি’র তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বীরপ্রতীক খেতাব দেওয়া হলেও দীর্ঘ ২৫ বছর তিনি তা’ জানতে পারেননি। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য যে দু’জন নারীকে বীরপ্রতীক খেতাব দেয়া হয় তিনি তাদের একজন। তাঁর নাম তারামন বিবি।

আজ বুধবার, ১ ডিসেম্বর বীরপ্রতীক তারামন বিবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। বিগত ২০১৮ সালের ১ ডিসেম্বর কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলা সদরের কাচারীপাড়া এলাকায় নিজ বাড়িতে ইন্তেকাল করেন তিনি।

তার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে কাচারীপাড়া এলাকার বাড়িতে কোরানখানি এবং মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারামন বিবির একমাত্র ছেলে তাহের আলী।

এছাড়া জেলা শহরের ব্যাপারীপাড়া এলাকায় অবস্থিত উত্তরবঙ্গ জাদুঘরের আয়োজনে জাদুঘর চত্বরে বীর প্রতীক তারামন বিবির মৃত্যুবার্ষিকী পালনে সন্ধ্যায় মোমবাতি প্রজ্বলন এবং স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠাতা এসএম আব্রাহাম লিংকন।

বীর প্রতীক তারামন বিবি ছিলেন কুড়িগ্রামের রাজিবপুর উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের শংকর মাধবপুর গ্রামের প্রয়াত আব্দুস সোবহানের সাত ছেলেমেয়ের মধ্যে তৃতীয়। তিনি লেখাপড়ার কোন সুযোগ পাননি। অন্যের বাড়িতে কাজ করতেন।

এ অবস্থায় ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় রাজিবপুর এলাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রান্না করতেন ১৪ বছর বয়সী তারামন। রান্না করতে করতে অস্ত্র চালাতে শেখেন। তারপর রান্নার খুন্তি ফেলে রাইফেল হাতে মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে অংশ নেন সম্মুখ সমরে।

ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক বিমল কান্তি দে স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা সোলায়মান আলী এবং রাজিবপুর কলেজের সহকারি অধ্যাপক আব্দুস সবুর ফারুকীর সহায়তায় তাকে খুঁজে বের করেন। এরপর ১৯৯৫ সালের শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকভাবে তার হাতে বীরপ্রতীক খেতাবের পদক তুলে দেওয়া হয়েছিল।

তারমন বিবির স্বামী আব্দুল মজিদ বিগত ২০২০ সালের ১৭ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন। তাদের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছেন।

জেএম/রাতদিন