নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রায় গোটা রাজ্যেই ছড়িয়ে পড়ছে বিক্ষোভ। হাওড়ার উলুবেড়িয়া, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা, বহরমপুর-সহ বিভিন্ন এলাকায় ধ্বংসাত্মক বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ক্ষোভের আগুন ছড়িয়েছে কলকাতাতেও।
কোথাও রেললাইন, কোথাও জাতীয় সড়ক অবরোধ করে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা।
এর মধ্যে হাওড়ার উলুবেড়িয়া এবং মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার পরিস্থিতি সবচেয়ে উত্তপ্ত। এ দিন প্রথমে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করা হয় উলুবেড়িয়ায়। কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তা আটকে আগুন জ্বালিয়ে দেন। পরে অবরোধ শুরু হয় রেল লাইনে। এতে হাওড়া-খড়্গপুর রুটে ট্রেন চলাচল সম্পূর্ণ বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।
হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতের দিকে যাওয়া বিভিন্ন দূরপাল্লার ট্রেন আটকে পড়েছে। হাওড়ায় ফেরার পথেও আটকে রয়েছে একাধিক দূরপাল্লার ট্রেন। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের ওই শাখায় লোকাল ট্রেন চলাচলও বন্ধ হয়ে গেছে।
রেল লাইনের উপরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছেন বিক্ষোভকারীরা। পাথর ছুড়ে হামলা চালানো হচ্ছে আটকে থাকা ট্রেনগুলিতে। একটি ট্রেনের চালক এবং এক রেল পুলিশ কর্মী হামলায় জখম হয়েছেন বলে জানা গেছে। আটকে পড়া যাত্রীদের অনেকেও আহত হয়েছেন।
মুর্শিদাবাদের বেলডাঙাও শুক্রবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। জাতীয় সড়ক এবং রেললাইন অবরোধ করা হয়। সেখানেও রেললাইনে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে অবরোধ হঠানোর চেষ্টা করে পুলিশ। এতে পুলিশের সাথে সংঘর্ষ শুরু হয় বিক্ষোভকারীদেরে। রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা।
পরে অবশ্য অবরোধ তুলে নেয়া হয়। তবে জেলার আরও উত্তরে উমরপুরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত বৃহস্পতিবার থেকেই। পার্শ্ববর্তী জেলা বীরভূম থেকেও অবরোধ বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যে শান্তি বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন। সিএবি-র প্রতিবাদ করতে হলে গণতান্ত্রিক উপায়ে তা করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ও শান্তির আবেদন জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গের মানুষ শান্তিপ্রিয়। আইন নিজের হাতে তুলে নেবেন না।’ পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে খবর আসছে তা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন তিনি। সুত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা।
জেএম/রাতদিন