উন্নয়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন: রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, এজন্য গড়ে তুলতে হবে পরমত সহিষ্ণুতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের সংস্কৃতি।

৪৯তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে আজ মঙ্গলবার, ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গভবন থেকে ধারণকৃত ভিডিও ভাষণে রাষ্ট্রপতি একথা বলেন।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। সরকারের নিরলস প্রচেষ্টায় ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পাশাপাশি স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়নসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এ ধারাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির ইতিবাচক পরিবর্তন। তাহলেই দেশ পরিণত হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায়।

রাষ্ট্রপতি করোনা মহামারী মানবসভ্যতাকে ইতিহাসের এক চরম বিপর্যয়ের দ্বারপ্রান্তে দাঁড় করিয়েছে উল্লেখ করে ভাষণে বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ করোনা পরিস্থিতি সাফল্যের সাথে মোকাবিলা করে যাচ্ছে। তিনি করোনাযুদ্ধে জয়ী হতে দেশবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

রাষ্ট্রপ্রধান মহান বিজয় দিবসের এই আনন্দঘন মুহূর্তে দেশে-বিদেশে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও উষ্ণ অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বিজয়ের এ দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ মুক্তিযুদ্ধের বীর শহিদদের।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, স্বাধীনতা বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন। আমাদের স্বাধীনতার লক্ষ্য ছিল রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তি। জাতির পিতা সে লক্ষ্য অর্জনে কাজ শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের নৃশংস হত্যাকান্ডের ফলে উন্নয়নের সেই গতি থমকে দাঁড়ায়।

মহান বিজয় দিবস দেশের জাতীয় ছুটি এবং এটি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানী দখলদার সেনার উপর মিত্রবাহিনীর বিজয়ের স্মরণে ১৬ ডিসেম্বর উদযাপিত হয়। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনী বাংলাদেশ-ভারত যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করার মাধ্যমে ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের অবসান এবং পূর্ব পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে।

এবি/রাতদিন