পোস্টার, ক্যাম্পেইন, ভোটারদের কাছে ভোট প্রার্থনা, লিফলেট বিতরণ সবই হয়েছে। জাতীয় নির্বাচনের আদলে বিদ্যালয়ে বসানো হয়েছে গোপন বুথ। ব্যালট বাক্স, ব্যালট পেপার ছাপানো হয়েছে প্রার্থীদের নামে নামে।
ভোটকেন্দ্রের সামনে ভোটারদের লম্বা লাইন। ভোটারদের আঙ্গুলে লাগিয়ে দেয়া হচ্ছে অমোচনীয় কালি। প্রিজাইডিং ও পোলিং অফিসারের অনুমতি ছাড়া প্রার্থীর এজেন্ট, নির্বাচনী পর্যবেক্ষক বা সংবাদকর্মীর প্রবেশাধিকার নেই।
বুধবার, ২০ ফেব্রুয়ারি সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা ও কালীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেছে এমন চিত্র।
আর এভাবেই ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে অনুষ্ঠিত হলো ভোট গ্রহণ। তবে এ নির্বাচনের প্রার্থী, ভোটার, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তার সকলেই শিশু। ভোটার-প্রার্থীর সবাই তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী। তারা অংশ নিয়েছিল স্টুডেন্ট কাউন্সিলের ভোটে।
ক্ষুদে ভোটারদের ভোটগ্রহণের জন্য ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। এজন্য আগে থেকেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার সবই। নির্বাচিত সাত কাউন্সিলরের নেতৃত্বেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
কালীগঞ্জের চন্দ্রপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্টুডেন্ট কাউন্সিলর প্রার্থী তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী শেখ মাহছিন মালিহা মৌমিতা জানায়, নির্বাচিত প্রতিনিধিরা স্কুলে তাদের সুবিধা-অসুবিধার দেখভাল করবে। বৃক্ষরোপণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাসহ বিভিন্ন কাজে শিক্ষকদের সহযোগিতা করবেন।
ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. রমজান আলী বলেন, কোমলমতি শিশুদের মাঝে গণতান্ত্রিক চেতনাবোধ সৃষ্টি, তাদের মাঝে নেতৃত্বের বিকাশ ও পারস্পরিক সহযোগিতার মানসিকতা তৈরি হবে। এতে শিশুর মনে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।
হাতীবান্ধা উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সোলায়মান মিঞা বলেন, এ উপজেলার ১৭৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্টুডেন্ট কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এবি/রাতদিন