‘এমন শিক্ষক আর কোনো ছাত্রীর জীবনে না আসুক’

মাশফি সুমাইয়া নামের এক কলেজছাত্রী শিক্ষকের ধর্ষণের শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছে। এ ঘটনায় সেই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায়

আজ রোববার, ২৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই ছাত্রীর পিতা মো. শামীম মিয়া বাদী হয়ে পাকুন্দিয়া থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদকে একমাত্র আসামি করা হয়েছে।

এদিকে ওই শিক্ষক ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছেন। রাসেল কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার নোয়াবাদ গ্রামের রহমত আলীর ছেলে। তিনি বর্তমানে ঢাকার একটি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত।

সুমাইয়া তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস লিখে গতকাল শনিবার সকালে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কিশোরগঞ্জ ২৫০শয্যাবিশিস্ট সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।

মামলা সূত্রে জানা যায়, মাশফি সুমাইয়া ২০১৭ সালে উপজেলার কালিয়াচাপড়া চিনিকল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাশ করেন। তিনি বিদ্যালয়ে নবম শ্রেনিতে পড়ার সময় ওই বিদ্যালয়ের খন্ডকালীন গণিতের শিক্ষক রাসেল আহমেদের কাছে প্রাইভেট পড়তেন। প্রাইভেট পড়ার সময় ওই শিক্ষকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বিয়ের প্রতিশ্রুতি পাওয়ায় এক পর্যায়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তারা। গত শুক্রবার (২১আগস্ট) রাসেল গোপনে অন্য এক মেয়েকে বিয়ে করেছেন। এমন খবর জানতে পেরে গতকাল শনিবার সকাল ৭টার দিকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন সুমাইয়া।

 আত্মহত্যা করার আগে সুমাইয়ার লেখা আট লাইনের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাস উদ্ধার করে পুলিশ। এতে তিনি লিখেছিলেন, ‘বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিন বছর ধরে ছাত্রীকে ধর্ষণের পরে অন্য মেয়েকে বিয়ে করে ছাত্রীকে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করায় আমার প্রিয় শিক্ষক। আর সেই ভাগ্যবান ছাত্রী আমি নিজে। আল্লাহ আমায় মাফ করো।’

পাকুন্দিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শ্যামল মিয়া বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক রাসেল আহমেদকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

এবি/রাতদিন