জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই বিকেল ৪টা ১০ মিনিটে তাঁর অবস্থা আগের চেয়ে কিছুটা অবনতি হলে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়।
এরশাদের উপ-প্রেসসচিব খন্দকার দেলোয়ার জালালী সংবাদমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে আজ দুপুরে জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ (জি এম) কাদের বলেছেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের ফুসফুসের সংক্রমণ প্রত্যাশা অনুযায়ী কমছে না এবং প্রয়োজন অনুযায়ী কিডনি কাজ করছে না। এ কারণে তাঁর শরীরে কিছুটা পানি জমেছে। কিন্তু সিএমএইচের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিতে আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় বনানীতে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা এইচ এম এরশাদের শারীরিক সর্বশেষ অবস্থা নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে তাঁর ছোট ভাই জি এম কাদের এসব কথা বলেন।
জি এম কাদের বলেন, ‘পল্লীবন্ধুকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছেন চিকিৎসকরা। গত তিন দিন সাবেক রাষ্ট্রপতি, সংসদে বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের শারীরিক অবস্থা অপরিবর্তিত আছে।’
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জি এম কাদের বলেন, ‘চিকিৎসকদের প্রত্যাশা অনুযায়ী তাঁর শারীরিক উন্নতি হচ্ছে না। তবে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা সাবেক রাষ্ট্রপতিকে বিশ্বমানের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন।’
জাতীয় পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আরো বলেন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকরা দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করেই পল্লীবন্ধুর চিকিৎসা দিচ্ছেন। সিএমএইচের চিকিৎসকরা মনে করলেই পল্লীবন্ধুকে বিদেশ নেওয়া হবে অথবা বিদেশ থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডাকা হবে। সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
আগামীকাল শুক্রবার দেশের সব মসজিদ, মন্দির, গির্জা, প্যাগোডাসহ ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে এরশাদের রোগমুক্তি ও সুস্থতা কামনায় দোয়া প্রার্থনা করতে দেশবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন জি এম কাদের।
এবি/রাতদিন