মানুষ জন্মে একা, মরণে একা আর যাপিত জীবনে সহস্র কোলাহলেও অবিরত একা। এই একাকীত্ব প্রার্থনার মতো, এই একাকীত্ব নৈশব্দের মতো। সমগ্র পার্থিবতা ছেড়ে একাকী হয়ে যাবার এই নৈসর্গিক জীবনবোধ একটু একটু করে ফুটে উঠেছে এক একটা কবিতায়। এরকম পার্থিব জীবনবোধের অতি পার্থিব কাব্যগ্রন্থ ‘প্রার্থনার মতো একা’ আসছে এবারের বইমেলায়।
নওশাদ জামিলের কবিতার বই ‘প্রার্থনার মতো একা’ ২০২০ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন কবি নিজেই। বইটির প্রকাশক অন্যপ্রকাশ, প্রচ্ছদ করেছেন রাজীব দত্ত।
নওশাদ জামিলের বেড়ে ওঠা ময়মনসিংহের ভালুকায়। উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সরকার ও রাজনীতি বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর করেছেন তিনি। বর্তমানে যুক্ত আছেন সাংবাদিকতা পেশায় । রাজনীতির মতো নিরস বিষয়ে পড়লেও কাব্যিকতার পরিপূর্ন রসবোধ খুঁজে পাওয়া যাবে এই কাব্যগ্রন্থের প্রতিটি কবিতায়।
তার প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘তীর্থতল’ প্রকাশিত হয় ২০১১ সালের অমর একুশের গ্রন্থমেলায়। বইটির প্রকাশক ঐতিহ্য। একই প্রকাশনী থেকে ২০১৪ সালে বের হয় তার দ্বিতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কফিনে কাঠগোলাপ’। ২০১৬ সালের গ্রন্থমেলায় তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘ঢেউয়ের ভেতর দাবানল’ প্রকাশ করে প্রকাশনা সংস্থা অন্যপ্রকাশ। ২০১৭ সালের গ্রন্থমেলায় ভ্রমণগ্রন্থ ‘লঙ্কাপুরীর দিনরাত্রি’ প্রকাশ করে পাঞ্জেরী পাবলিকেশন্স। এছাড়াও সম্পাদনা করেছেন ‘কহন কথা: সেলিম আল দীনের নির্বাচিত সাক্ষাৎকার’ (যৌথ) এবং ‘রুদ্র তোমার দারুণ দীপ্তি’ (যৌথ) শিরোনামের দুটি বই ও পত্রিকা।
নওশাদ জামিলের পেশা সাংবাদিকতা। সাংবাদিকতার শুরুতে কাজ করেন দৈনিক প্রথম আলোয়। বর্তমান কাজ করছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের বার্তা বিভাগে, সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে।
নওশাদ জামিল কবিতার জন্য পেয়েছেন কালি ও কলম তরুণ কবি ও লেখক পুরস্কার, বিশাল বাংলা সাহিত্য পুরস্কার এবং ভারতের পশ্চিম বঙ্গ থেকে পান আদম সম্মাননা পুরস্কার। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য পান ইউনেসকো-বাংলাদেশ জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ড ও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী স্মৃতি পুরস্কার।
ইতিবাচক জীবনবোধসম্পন্ন প্রতিটি পাঠক কাব্যগ্রন্থটিতে নিজেকে খুঁজে পাবেন বলে জানিয়েছেন কবি।
জেএম/রাতদিন