সপ্তাহের ব্যবধানে দুই দফায় তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমা অতিক্রম করলেও তা কমতে শুরু করেছে। ফলে লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি ঘটেছে। তবে পানি কমে যাওয়ার কারণে জেলার ৫টি উপজেলায় তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে। এতে বেশ কিছু এলাকায় ঘরবাড়িসহ ফসলী ক্ষেত নদীগর্ভে বিলীন হতে শুরু করেছে।
সোমবার, ২৯জুন বিকেল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২ মিটার ৫০ সেন্টিমিটার। যা স্বাভাবিকের (৫২ মিটার ৬০ সেন্টিমিটার) চেয়ে ১০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
এর আগে গত শুক্রবার ভোর থেকে পানি প্রবাহ কয়েক দফায় বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ২০ সেন্টিমিটার অতিক্রম করেছিল। ওইদিন লালমনিরহাটের বিস্তীর্ণ নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।
ফলে তিস্তার চরাঞ্চল ও বামতীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ২০হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল। ভেসে যায় পুকুরের মাছ। আজ সোমবার সকাল থেকে পুনরায় পানি কমতে শুরু করেছে।
এদিকে কার্যকরী কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় নদীভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে কয়েক হাজার পরিবার।
তিস্তা ব্যারাজের নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, সোমবার থেকে তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। উন্নতি ঘটছে বন্যা পরিস্থিতির।