কমছে তিস্তার পানি, বাড়ছে ভাঙন, সড়ক ভেঙে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

আকস্মিক বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ার পর তিস্তার পানি কমতে শুরু করেছে। তবে তিস্তার তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় বিস্তীর্ণ জনপদ তলিয়ে আছে পানির নীচে। লালমনিরহাটে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও তিস্তার দুই তীরে ভাঙন শুরু হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর সকাল ৯টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজে পানিপ্রবাহ বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

তিস্তার স্বাভাবিক প্রবাহ ৫২ দশমিক ৬০ সেমি। আজ ভোরে সেখানে রেকর্ড করা হয় ৫২ দশমিক ২০ সেন্টিমিটার, যা স্বাভাবিকের চেয়ে কম। তবে গতকাল দিনভর বিপৎসীমা ওপর দিয়ে পানিপ্রবাহের ফলে লালমনিরহাটের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়।

স্থানীয়রা জানান, উজানে অতি বৃষ্টির কারনে হঠাৎ পানির ঢল পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম এলাকা প্লাবিত করে প্রবেশ করে তিস্তা ব্যারাজে।

প্রবল স্রোতের চাপে তিস্তার ফ্লাড বাইপাস সড়কটি ভেঙে যায়।  ফলে জেলার ৫টি উপজেলায় তিস্তার চরাঞ্চল ও বামতীরের নিম্নাঞ্চল বন্যায় প্লাবিত হয়ে প্রায় ৫ হাজার পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। ডুবে যায় কৃষকের ফসল।

এ দিকে তিস্তা নদীর পানিপ্রবাহ কমে যাওয়ায় দেখা দিয়েছে নদীভাঙন। লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ, আদিতমারী, হাতীবান্ধাসহ পাটগ্রামের দহগ্রামে নদীভাঙন তীব্র আকার ধারণ করেছে। তিস্তার প্রবল স্রোতে লালমনিরহাটে কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা-রংপুর সংযোগ সড়কের পাকা রাস্তা ধসে গিয়ে রংপুরের সাথে জেলার একাংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।

ভাঙ্গনকবলিত মানুষরা জানান, প্রতিবছর তিস্তার পানি বেড়ে ঘর বাড়িসহ আবাদি জমি নদীর গর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। সরকার শুধু আশ্বাস দেয়, কাজের কাজ কিছুই হয়না

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান মুঠোফোনে জানান, বর্তমানে পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।  

জেএম/রাতদিন