করোনাভাইরাস: বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ৫ চীনা কর্মকর্তা পর্যবেক্ষণে

দিনাজপুরের পার্বতীপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পাঁচ চীনা কর্মকর্তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। গত ২০ জানুয়ারি ছুটি শেষে চীন থেকে ফেরা ওই কর্মকর্তাদের খনির ভেতরের হাসপাতালের একটি বিশেষ ওয়ার্ডে নিবিড় পর্যবেক্ষণে বা আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। তবে তাদের মধ্যে এখনও করোনাভাইরাসের লক্ষণ পাওয়া যায়নি।

আজ  শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দিনাজপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুছ।

সিভিল সার্জন জানান, ছুটি শেষে চীন থেকে কয়লা খনিতে ফেরা পাঁচ চীনা কর্মকর্তার বিষয়টি সিভিল সার্জন কার্যালয়ে চিঠির মাধ্যমে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। ওই পাঁচ জনকে খনির অভ্যন্তরের হাসপাতালের চীনা চিকিৎসকরা চিকিৎসা দিচ্ছেন। প্রয়োজন হলে এখান থেকে চিকিৎসক পাঠানো হবে। করোনাভাইরাস কারও শরীরে প্রবেশ করলে ১৪ দিন পর লক্ষণ বোঝা যায়। তাই ওই পাঁচ চীনাকে আরো ২ দিন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। এর মধ্যে লক্ষণ দেখা দিলে তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হবে। এজন্য সব ধরনের প্রস্তুতি জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের রয়েছে।

জানা গেছে, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনিতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সিএমসি/এক্সএমসি’র অধীনে চীনের পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী কর্মরত। তবে তাঁরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের অধীনে হওয়ায় তাঁদের ছুটিসহ যাবতীয় বিষয় দেখাশোনা করে সিএমসি/এক্সএমসি। ২০ জানুয়ারি চীন থেকে পাঁচ কর্মকর্তা খনিতে এলে তাঁদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রতিষ্ঠানটি।

খনি সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খনিতে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর পাঁচ চীনার শরীরে ভাইরাস পাওয়া না গেলে তাঁদের কাজে যোগদানের অনুমতি দেওয়া হবে।

বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-মহাব্যবস্থাপক একেএম বদরুল আলম বলেন, ‘খনিতে কাজ করা চীনারা ছুটিতে গেলে বা ফেরত এলে খনি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয় না। তাই বিষয়টি আমার জানা নেই।’

এবি/রাতদিন