করোনার খবর পড়তে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন সংবাদ পাঠিকা

লাগামহীনভাবে সংক্রমণ ঘটছে করোনাভাইরাসের। বিশ্বজুড়ে প্রাণহানি ঘটেছে ৩৭ হাজার ৬৮৬ জনের। এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৭ লাখ ৮৫ হাজার ৯৯৭ জন এবং সুস্থ হয়ে ফিরেছেন ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮৮৯ জন।

করোনার ভয়ঙ্কর থাবায় বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে। আক্রান্তের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে প্রাণহানির সংখ্যা। সেই তালিকায় নাম লিখিয়েছেন বেশ কয়েকজন বাংলাদেশি। ভয়াবহতায় হতবিহ্বল বাংলাদেশি কমিউনিটির মানুষ।

করোনার এমন খবর পড়তে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন মার্কিন গণমাধ্যম এনবিসির সংবাদ পাঠিকা। যুক্তরাষ্ট্রেও লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণহানি। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২১ বাংলাদেশি করোনায় মারা গেছেন।

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র সতর্ক করেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে জরুরি চিকিৎসা সরঞ্জাম। দেশটির করোনা প্রতিরোধে গঠিত টাস্কফোর্সের একজন শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, করোনায় প্রাণহানি ২ লাখে পৌঁছাতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ব্যাগে করে মরদেহ হিমায়িত  ট্রাকে তোলা হচ্ছে। সংখ্যা এতো যে তা মোকাবিলা কঠিন হচ্ছে। নিউইয়র্কের এমন পরিস্থিতি আমি আগে দেখিনি।’

ইতালিতে ২৪ ঘন্টায় নতুন করে প্রাণ গেছে আটশো ১২ জনের। দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়েছে। ইতালিতে শত চেষ্টাতেও আটকানো যাচ্ছে না মৃত্যুর মিছিল। হাসপাতালে জায়গা নেই। মৃত্যুর পর মর্গেও মিলছে না ঠাঁই।

একজন নার্স কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে বলেন, ‘প্রতিদিনই চোখের সামনে মৃত্যু দেখছি। নিজেদের সবটুকু দিয়েও বাঁচাতে পারছি না অনেককে। খুব অসহায় লাগে।’

করোনায় ইউরোপ আর আমেরিকার মতো ভয়াবহ আতঙ্কিত এশিয়ার দেশগুলো। ভারতে বন্ধ থাকা ট্রেনের কামরা অস্থায়ী আইসোলেশন ওয়ার্ড হিসেবে ব্যবহারের জন্য তৈরি করা হচ্ছে। যদিও দেশটিতে ২১ দিনের লকডাউন চললেও তা মানা হচ্ছেনা অনেক জায়গায়।

করোনা পরিস্থিতি সামালে পুরো বিশ্ব যখন হিমশিম খাচ্ছে তখন সংকট কাটিয়ে নিজেদের অনেকটাই সামলে নিয়েছে চীন। করোনার কেন্দ্রস্থল উহানে স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে জনজীবন।

এনএ/রাতদিন