করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুরে এক ইউপি চেয়ারম্যানসহ দুইজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন একজন। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুর জেলায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১ জনে।
বুধবার, ১৫ জুলাই দিনাজপুরের সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুছ এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, দিনাজপুরের চিরিরবন্দরের একজন এবং নবাবগঞ্জ উপজেলার একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ ছাড়াও করোনা উপসর্গ নিয়ে দিনাজপুরের বীরগঞ্জের মারা গেছেন একজন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে দিনাজপুরের চিরিরবন্দরে ইউপি চেয়ারম্যান একেএম ফজলুর রহমান দুলাল মারা গেছেন। দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার ভোর ৫টায় তিনি মারা যান।
একেএম ফজলুর রহমান চিরিরবন্দর সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক ছিলেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আবদুল কুদ্দুস।
চিরিরবন্দর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম ফজলুর রহমান করোনার উপসর্গ নিয়ে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে গত ৩০ জুন দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ওইদিনে তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরে ২ জুলাই তার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর থেকে তিনি এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
এ দিকে দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মো.আবদুল গফুর (৮৫) নামের এক বৃদ্ধ মারা গেছেন। বুধবার ভোরে উপজেলা শহরের বিনোদনগর ইউনিয়নের তর্পণঘাট এলাকার নিজ বাসায় মারা যান তিনি। এ ছাড়া ওই বৃদ্ধের ছেলে, ছেলের বউ এবং মেয়ে করোনায় আক্রান্ত আছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো.শাহাজাহান আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অপরদিকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কসর আলী (৭০) নামে এক ব্যক্তি করোনা উপসর্গ নিয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে মারা যান। কসর আলী বীরগঞ্জ উপজেলার নিজপাড়া গ্রামের মৃত মিয়াজান আলীর পুত্র। গত ৪ দিন আগে জ্বর ও শ্বাসকষ্ট দিয়ে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি হন কসর আলী।
এআই/রাতদিন