দিনাজপুরে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এ পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স, মুক্তিযোদ্ধাসহ ১০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে ১ জন চিকিৎসক, ২ জন নার্স, ১ জন মুক্তিযোদ্ধা, ১ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। জেলায় এ পর্যন্ত মোট আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজার ৫৪৪ জন।
শুক্রবার, ৮ জানুয়ারি দিনাজপুর জেলার সিভিল সার্জন আবদুল কুদ্দুছ রাতদিন নিউজকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি আরো বলেন, সব চেয়ে বেশি মারা গেছেন সদর উপজেলায়। সেখানে ৪১ জনের মৃত্যু হয়।
তাছাড়াও চিরিরবন্দর উপজেলায় ১০, পার্বতীপুরে ৮, বিরলে ৬, বিরামপুরে ৬, বীরগঞ্জ ৫, বোচাগঞ্জে ৩, ফুলবাড়ীতে ৮, হাকিমপুরে ১, কাহারোলে ৫, খানসামায় ৪ ও নবাবগঞ্জে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন। ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১ জন মারা গেলেও তিনি বগুড়ার ঠেঙ্গামারা হাসাপাতালে মারায়া ওয়ায় তার হিসাব বগুড়ার হাসপাতালে ধরা হয়েছে।
দিনাজপুর জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, দিনাজপুরে প্রথম করোনায় আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায় গত বছরের ১৪ এপ্রিল। এ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫৪৪ জন। সুস্থ হয়েছেন ৪ হাজার ৩২৩ জন। বর্তমানে রোগী রয়েছেন ১২১ জন। হাসাপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৬। হোম আইসোলেশনে রয়েছেন ১১৫ জন। মৃত্যুবরণ করেছেন ১০০ জন।
১০০ জনের মধ্যে সদর উপজেলায় ৪১ জন, চিরিরবন্দর উপজেলায় ১০, পার্বতীপুরে ৮, বিরলে ৬, বিরামপুরে ৬, বীরগঞ্জ ৫, বোচাগঞ্জে ৩, ফুলবাড়ীতে ৮, হাকিমপুরে ১, কাহারোলে ৫, খানসামায় ৪ ও নবাবগঞ্জে ৩ জন মৃত্যুবরণ করেন। ঘোড়াঘাট উপজেলায় ১ জন মারা গেলেও তিনি বগুড়ার ঠেঙ্গামারা হাসাপাতালে মারায়া ওয়ায় তার হিসাব বগুড়ার হাসপাতালে ধরা হয়েছে।
দিনাজপুরে বর্তমানে করোনা শনাক্তের হার কমে আসছে। শুক্রবার দিনাজপুরে করোনা শনাক্তের হার ৫ দশমিক ২ শতাংশ, যা ৭ জানুয়ারি ছিল ১৬ দশমিক শূন্য শতাংশ, ৬ জানুয়ারি ৭ দশমিক ৮১ শতাংশ, ৫ জানুয়ারি ১৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ, ৪ জানুয়ারি ৮ দশমিক ১ শতাংশ, ৩ জানুয়ারি ছিল ২ দশমিক ৮৫ শতাংশ।
জেলার সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুছ বলেন, বর্তমানে সারাদেশেই করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা কমছে। এ ছাড় দিনাজপুরে আগের তুলনায় করোনায় আক্রান্তের হার কমে গেছে। ভবিষ্যতে সংক্রমণের হার কমার আশা রয়েছে। ইতিমধ্যে করোনায় বিভিন্ন পেশার ১০০ জন আমাদের মাঝ থেকে চলে গেছেন।
এনএ/রাতদিন