সারা বিশ্বে পরজীবী সংক্রমণের চিকিৎসায় অস্ট্রেলিয় ওষুধ আইভারমেকটিন ব্যবহার করা হয়। কিন্তু বর্তমানে করোনা রোগীদের চিকিৎসায় এই ‘বিস্ময়কর’ ওষুধটি ব্যবহার করা হচ্ছে। গবেষণার সঙ্গে জড়িত রোগীদের শরীরে করোনাভাইরাস মুক্ত করে দুর্দান্ত ফলাফল দেখাচ্ছে এই ওষুধটি। স্কাই নিউজের বরাত দিয়ে নিউজ ম্যাক্স এই তথ্য জানিয়েছে।
অস্ট্রেলিয়ার সেন্টার ফর ডাইজেস্টিভ ডিজিজের মেডিক্যাল ডিরেক্টর প্রফেসর থমাস বোরোডি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এটির উন্নয়নের জন্য আমি কাজ করছি। সেখানে গবেষণার সকল রোগীদের ক্ষেত্রে আশ্চর্যজনকভাবে সফল এই ওষুধটি। আমরা শতভাগ সফলতার কথা বলছি। আসলে আমরা এখনো শতভাগ সফলতার নিচে কোনো ফলাফল দেখিনি। মনে হচ্ছে করোনাকে মারাটা খুব সহজ।
তিনি আরো বলেন, এটি শুধু ব্যবস্থাপত্রের ওষুধ (চিকিৎসকের পরামর্শে) হিসেবে পাওয়া যায়। তবে শুধু এই ওষুধটিই ব্যবহার করলে হবে না। এর সঙ্গে আরো দু’টি ওষুধ যোগ করতে হবে। সেগুলো হলো ডক্সিসাইক্লিন ও জিংক।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও যুক্তরাষ্ট্রের খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন এরই মধ্যে এই ওষুধটিকে ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে। সংস্থা দু’টির প্রয়োজনীয় ওষুধের মডেল তালিকা আইভারমেকটিনকে রাখা হয়েছে।
শতভাগ সফলতার কথা জানিয়ে থমাস বোরোডি বলেন, বাংলাদেশে ১৪ হাসপাতালে (14-hospital) এর পরীক্ষা চলছিল। আমি দেখেছি একশতে একশ সুস্থ হতে। চীন এটির উৎপাদনের চেষ্টা করছে। তারাও ৬০ জনের মধ্যে ৬০ জনের সুস্থতা দেখেছেন। তাই আমি আইভারমেকটিন, ডক্সিসাইক্লিন ও জিংক দিয়ে করোনার চিকিৎসার পক্ষে। কারণ এটির খুব কমই ক্ষতিকর দিক রয়েছে এবং করোনাভাইরাসের আসল হত্যাকারী এটিই।
করোনার এই ‘বিস্ময়কর’ ওষুধটি মাত্র ২ মার্কিন ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৭০ টাকা ) কিনতে পাওয়া যায়। তাই ওষুধ প্রস্তুতকারকরা এই ওষুধটি নিয়ে প্রচারণা করছেন না বলে দাবি বোরোডির। তিনি বলেন, এই উপায়ে রোগ নিরাময়ের ফলে সহজেই হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা কমিয়ে দেয়।
এবি/রাতদিন