গরু চুরির অভিযোগে আটক মামুন (২৩) নামে এক যুবকের থানা হাজতে মৃত্যু হয়েছে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে। খবর ছড়িয়ে পড়লে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করে নিহতের স্বজনরা। উত্তেজনা দেখা দেয় ওই এলাকায়। পুলিশ বলছে, আটক মামুন আত্মহত্যা করেছে।
শনিবার, ১০ আগষ্ট সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মামুন সদর ইউনিয়নের যদুমনি গ্রামের হুজুর আলীর ছেলে।
জানা গেছে, এলাকাবাসী গরু চুরির অভিযোগে মামুনকে আটক করে শনিবার বিকেলে কেশবা গ্রামের মহিলা ইউপি সদস্য নারগিছ বেগমের বাড়িতে বন্দি করে রাখে।
খবর পেয়ে পুলিশ সেখান থেকে তাকে নিয়ে এসে থানা হাজতে রাখেন। পরে সেখানে তার মৃত্যু হয়।
নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ আশরাফ হোসেন ও এডিশনাল এসপি সৈয়দপুর সার্কেল অশোক কুমার পাল থানায় আসার পর সন্ধ্যায় ঘটনা প্রকাশ পায়।
বিষয়টি জানতে পেরে নিহত মামুনের পরিবার, স্বজন ও তার এলাকার লোকজন থানা চত্ত্বরে বিক্ষোভ প্রদর্শণ করেন।
এক পর্যায়ে তারা উত্তেজিত হয়ে থানার সামনের রাস্তায় অবরোধ করেন এবং পুলিশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন শ্লোগান দেন। তাদের অভিযোগ, পুলিশ তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
এব্যাপারে নীলফামারী জেলা পুলিশ সুপার মুহাম্মাদ আশরাফ হোসেন জানান, থানা হাজতের কাঁথা ছিড়ে রশির মত করে ভেন্টিলেটারের রডের সঙ্গে বেধে গলায় ফাঁস দিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে।