বিয়ের সাত মাসের মাথায় স্বামীর হাতেই জীবন দিতে হলো নববধূ মরিয়ম বেগমকে(২৪)। তিনি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার গোড়ল ইউনিয়নের মালগাড়া গ্রামের প্রয়াত মোস্তফার মেয়ে।
স্বামীর ছুরিকাঘাতে গুরতর আহত মরিয়ম রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এক সপ্তাহ চিকিৎসাধীন থাকার পর আজ সোমবার, ১০ আগস্ট সকালে মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে সন্ধ্যায় তার মরদেহ দাফন করা হয়েছে।
পুলিশ জানায়, সাত মাস আগে কালীগঞ্জ উপজেলার চন্দ্রপুর ইউনিয়নের উত্তর বালাপাড়া গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে সোহাগের (২৫) সাথে মরিয়মের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে সোহাগ তার স্ত্রীকে ঠিকভাবে ভরণপোষণ না দিয়ে উল্টো যৌতুকের জন্য নানা ভাবে নির্যাতন করতো।
এই অবস্থায় গত ৩ আগস্ট সকালে স্ত্রীকে সংসারের খরচের কোনো টাকা না দিয়ে বাড়িতে একা রেখে ঢাকা যাওয়ার প্রস্তুতি নেয় সোহাগ। বিষয়টি নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে ধারালো চাকু দিয়ে মরিয়মের কোমরে আঘাত করে তার স্বামী। এতে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে আশপাশের লোকজন সোহাগকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এ ঘটনায় সোহাগসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে গত ৪ আগস্ট একটি মামলা দায়ের করা হয় কালীগঞ্জ থানায়।
পারিবারিক সূত্র জানায়, গুরতর অবস্থায় মরিয়মকে উদ্ধার করে প্রথমে কালীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সোমবার সকালে তিনি মারা যান।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আরজু মো. সাজ্জাদ হোসেন এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এসকে/রাতদিন