সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে চায় নেপাল, রেল ট্রানজিট দিচ্ছে বাংলাদেশ

নেপালকে রেলপথে ট্রানজিট সুবিধা দিতে দেশটির সঙ্গে করা ট্রানজিট চুক্তি সংশোধনের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। আজ সোমবার, ১০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন প্রান্ত থেকে প্রধানমন্ত্রী এবং সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে মন্ত্রীরা এ বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘অ্যাডেনডাম টু দ্য প্রটোকল টু দ্য ট্রানজিট এ অ্যাগ্রিমেন্ট বিটুইন দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপলস রিপাবলিক অব বাংলাদেশ অ্যান্ড দ্য গভর্নমেন্ট অব দ্য ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব নেপাল’-এর খসড়া অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ছয়জন মন্ত্রী এ বৈঠকে সংযুক্ত ছিলেন।

মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম ব্রিফিংয়ে বলেন, ১৯৭৬ সাল থেকে নেপালের সঙ্গে আমাদের দ্বিপাক্ষিক ট্রানজিট অ্যাগ্রিমেন্ট রয়েছে। সেই ট্রানজিট অ্যাগ্রিমেন্টের মধ্যে নেপাল একটি অনুরোধ করেছে, আমাদের রহনপুর আর ভারতের সিঙ্গাবাদ হয়ে যে রেলপথ রয়েছে, সেখানে আরেকটি ট্রানজিট সুবিধা দেওয়ার জন্য। ১৯৭৬ সাল থেকেই এই প্রোটোকলটা রয়েছে, নতুন আরেকটা ওপেনিং হলো। রহনপুর ও সিঙ্গাবাদ রেলপথের মাধ্যমে তারা মালামাল আনতে ও নিতে পারে সেটার জন্য।

মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, নেপাল আমাদের সৈয়দপুর বিমানবন্দর ব্যবহার করতে চায়। এটার আলোচনা চলছে, আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ওইভাবে আর উপস্থাপন করতে পারেনি। যদি এটায় অ্যাগ্রি হয় তাহলে অদূর ভবিষ্যতে সেই প্রস্তাবও এখানে আসবে। বর্তমানে নেপালকে মোংলা ও চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহার করতে দেওয়া হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদসচিব জানান, সুবিধা আমরাও পাব। তবে সবগুলো জায়গায় আমরা ওপেন করতে পারিনি। সূত্র: কালের কন্ঠ অনলাইন

এবি/রাতদিন